Migrant Rally Jadavpur

পরিযায়ী শ্রমিকরা আক্রান্ত, বিজেপি-তৃণমূলকে ধিক্কার মিছিলে

রাজ্য কলকাতা

যাদবপুরে মিছিলে মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি সহ সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। ছবি ও ভিডিও: প্রিতম ঘোষ

প্রতীম দে

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা আক্রান্ত। আক্রমণ চালাচ্ছে বিজেপি। আর রাজ্যের তৃণমূল সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতেই প্রতিবাদ জানিয়ে যাদবপুর থেকে গড়িয়া মিছিল করল সিপিআই(এম)।
মঙ্গলবার মিছিলে নেতৃত্ব দেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সম্পাদক রতন বাগচী, প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি প্রমুখ। 
যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিলের পথে দুধারে ছিলেন বহু মানুষ। স্লোগান উঠেছে বিজেপি’র বিরুদ্ধে। স্লোগান উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যে ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতিকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তার প্রতিবাদে মিছিল রয়েছে তৃণমূলের। সে সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সুজন চক্রবর্তী বলেন, মমতা ব্যানার্জি সাংসদ থাকাকালীন অধ্যক্ষের চেয়ারে কাগজ ছুঁড়ে বলেছিলেন বাংলায় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ হচ্ছে। ভোটার তালিকায় বাংলাদেশীরা রয়েছে। আজ সারা দেশে এই রাজনীতি করছে বিজেপি।  
আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা। শুধু বাঙালি নয় বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা পরিযায়ী শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এখন দেখা যাচ্ছে বাংলাভাষায় কথা বললে বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করে তাঁদের সীমান্তের ওপারে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে। বিজেপি সরকারে রয়েছে, দিল্লি বা ওড়িশার মতো রাজ্যে রাজ্যে তাঁদের হেনস্তা করা হচ্ছে। হুগলী, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ সহ রাজ্যের জেলায় জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকরা হেনস্তার মুখে পড়ছেন। সব নথি থাকা সত্ত্বেও আটকে রাখা হচ্ছে তাঁদের। অথচ কেন্দ্রের সরকার বা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তৃণমূল সরকার। 
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআই(এম) নেত্রী বৃন্দা কারাত। তিনি লিখেছেন বাংলায় কতা বললেই বাংলাভাষী বলা হবে কেন। উল্লেখ্য, আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি’র হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আবার বাংলা বললে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিতে নেমেছেন। 
এদিন মিছিলে দাবি উঠেছে যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চাই নির্দিষ্ট আইন। কেন্দ্রকে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে দেশের সর্বত্র। রাজ্য সরকারকেও সামাজিক সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার দিক দেখতে হবে।
সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তৃণমূল এবং বিজেপি পরিকল্পিতভাবে বিধানসভা নির্বাচনে আগে রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতিকে জায়গা করে দিতেচাইছে। এখন ভোটার তালিকার নাম করে ঘুরপথে এনআরসি চালু করার চেষ্টা চলছে বিহারে। সেখানেও আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা।

Comments :0

Login to leave a comment