সোমবার রাতে পিএসজিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে সেরা দলের শিরোপা জিতেছে চেলসি। লুইস এনরিকের প্যারিস সেন্ট জার্মেইনকে বা পিএসজি-কে ৩-০ গোলে পর্যদুস্ত করেছে এঞ্জো মারেস্কার দল। তার আগে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একপ্রকার নিরংকুশ প্রাধান্য রেখেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পিএসজি। তাদেরও লক্ষ্য ছিল ক্লাব বিশ্বকাপ জয়। ফাইনালের আগে বরং আন্ডারডগ ছিল চেলসি। ফাইনালে উঠার আগে পালমেইরাস , বেনফিকার মতো দলকে হারাতে পেরেছিল লন্ডনের এই ক্লাব। অন্যদিকে পিএসজি হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখকে। ফলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়েই ছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। কিন্ত ফাইনালে হিসেবে বদলে দিল চেলসি। মূলত নুনো মেন্ডেজের দিক থেকে একাধিক আক্রমণ করতে থাকে কোল পামার। মাঝমাঠে ভিটিনহার আক্রমণ রুখে দিচ্ছিল এন্জো ফার্নান্দেজ। গতিতেই পিএসজি-কে পর্যদুস্ত করল চেলসি। প্রথমার্ধেই ধাতস্থ হওয়ার আগে ৩ গোল করে ফেলে চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও খুব সঙ্গবদ্ধভাবেই সেই আক্রমণগুলি রুখে দিচ্ছিল চালোবা , রিস জেমসরা।
এই জয়ের ফলে ট্রেন্ডিংয়ে থাকা আরও এক ফুটবল দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো চেলসি। ২০১২তে সেমিফাইনালে পেপ গুয়ার্দিওলার বার্সিলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল চেলসি। ফাইনালে ঘরের মাঠেই বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা অর্জন করেছিল রবার্তো ডি ম্যাটেওর (তৎকালীন চেলসি কোচ ) চেলসি। ২০২১ সালে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে দুর্দান্ত ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়েছিল এই চেলসি । এইবার তারা হারাল পিএসজিকে। অর্থাৎ ট্রেন্ড সেট করা দলকে হারিয়ে বেশিরভাগ সময়ই নতুন ট্রেন্ড সেট করে এসেছে চেলসি।
Comments :0