শারদীয়া ১৪৩১
জানা অজানা
সাহাজাদপুরের ঐতিহ্যমন্ডিত দুর্গাপূজা
তপন কুমার বৈরাগ্য
নতুনপাতা
পূর্ব -বর্ধমান জেলার সাহাজাদপুর একটা সুন্দর গ্রাম ।
পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খড়ি নদী।এই খড়ি নদীর তীরে
অবস্থিত সাহাজাদপুর গ্রামটা। এই গ্রামের দুর্গাপূজা
ঐতিহ্যমন্ডিত। মহিলা পরিচালিত এই দুর্গাপূজা।
মহিলাদের উদ্যগে এই দুর্গাপূজা হয়। ভোরবেলা থেকেই
সকলে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ে।পুজোর আয়োজন থেকে
সব দায়িত্ব মেয়েরা নিজেদের হাতে নেয়। এখানকার সবচেয়ে
আকর্ষণীয় বিষয় মেয়েরাই সব বিষয়ের আয়োজন করে।
ছেলে মেয়েরা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত নানা ধরনের সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করে। সকল অনুষ্ঠান হয় শিক্ষামূলক।
ছোট ছোট মেয়েরা এই অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ,
অঙ্কন, নৃত্য,সংগীত ,নানাবিষয়ে অংশগ্রহণ করে।
এই অনুষ্ঠানে এলাকার বহুলোক উপস্থিত থাকে।
সকলেই এই অনুষ্ঠানগুলোর প্রশংসা করে।
এই দুর্গাপূজো দেখতে আত্মীয়-স্বজনেরাও শহর ছেড়ে
এই গ্রামে চলে আসে। এই ঐতিহ্যমন্ডিত পুজো ছেড়ে
কেউ বাইরে যেতে চায় না।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই এই
পুজোর ক-দিন আনন্দিত থাকে।
নতুন পোষাক পরিধান করে শিশুরা প্রায় সারাদিন এই
পুজো মন্ডপে বসে থাকে।কারণ তাঁদের মনের খোরাক
তাঁরা এখানেই সব পেয়ে যায়। শিশুদের জন্য নানা ধরনের
খেলারও এখানে আয়োজন করা হয়।থাকে তাঁদের হাঁটার
প্রতিযোগিতা,অঙ্ক প্রতিযোগিতা, মিউজিক্যাল চেয়ার।
আলু দৌড়,স্কিপিং,আরো অনেক প্রতিযোগিতা।
ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সকলকেই পুরস্কার দেওয়া
হয়।তাঁরা পুরস্কার পেয়ে আনন্দে অভিভূত হয়ে যায়।
পুজোর সময় বহুলোক পুজোতলায় উপস্থিত থাকে।
যেন তাঁরা বার্তা দিতে চায় মিলনমন্ত্রের।এখানকার
শারদীয়া উৎসব মানুষকে একসূত্রে বেঁধে দেয়।
একটা গ্রাম যে সুস্থ সাংস্কৃতিকের পক্ষে তার জ্বলন্ত নিদর্শন
বর্ধমান জেলার সাহাজাদপুর।
উৎসব উপলক্ষে বেশ কিছু দোকানও বসে।
এই উৎসব বেশ কিছু মানুষের রুজি-রুজগারেরও ব্যবস্থা
করে দেয়।
বিসর্জনের দিন শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।
ক'টাদিন আনন্দের পর মানুষের মনটা আবার ক'দিনের জন্য বিষাদে ঢেকে যায়।
Comments :0