শারদীয়া ১৪৩১
বিসর্জনের আগমনী
মনীষ দেব
নতুনপাতা
হিজলবনের ধারে ফলসা আনতে যেত মেয়েটা – মা প্রতিবার মানা করেছে। মানা না মেনেই গেছে বারবার ফলসার ঝোঁপে। নীলদিঘিতে ভেসে গেছে লাল পদ্মের খোঁজে, যেখানে পদ্মগোখরো ভেসে যায় শালুক ফুলের ফাঁকে ফাঁকে। ফুটি ফাটা মাটি থেকে পিছল আলপথ ধরে সে গেছে – তিনভূবনে পারে, আর ফিরবে না জীবনের আলপথে –
আমি তোমারি মাটির কন্যা, জননী বসুন্ধরা –
একটা রঙীন জীবন – কথা ছিল যুল হয়ে ফুটবে, প্রজাপতি
হয়ে উড়ে যাবে। এই আশ্বিনে কাশবনে হয়তো কোনও অপুর সাথে তাঁর যাবার কথা ছিল কিন্তু দুর্গা যে আগমনী হয়ে ঝড়ে যাবে কে জানতো! – বোধনের আগেই বিসর্জন আগমনীর।
আগমনী – তালপুকুরে যাবে না।
আগমনী – এক্কা দোক্কা খেলবে না।
আগমনী – আলতা পড়বে না পায়।
আগমনী – যাবে না রথের মেলায়। বাঁধবে না চুলে রঙীন ফিতে।
অতসী ফুলের ঝুমঝুমি পড়ে পেরোবে না চৌকাঠ।
– ও এখন স্মৃতি, শুধু স্মৃতি – আমার আগমনী শুধু স্মৃতি – শুধু বিসর্জনের কবিতা।
Comments :0