Brinda Karat on Kasba rape

মমতা প্রশাসনকে ধিক্কার, ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান কারাতের

জাতীয় রাজ্য

‘‘ধর্ষক, দুষ্কৃতীদের প্রশাসন আড়াল করে। পশ্চিমবঙ্গে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসন তাদের মদত দেয়। সে কারণে পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতায় অসুরক্ষিত মহিলারা।’’
কসবায় আইন কলেজের ভেতর ছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেছেন প্রবীণ সিপিআই(এম) নেত্রী বৃন্দা কারাত। কসবায় নির্যাতিত ছাত্রীর লড়াইয়ের পাশে দাঁড়াতে সারা দেশের মহিলাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।  
কসবার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। কারাত এদিন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। 
বৃন্দা কারাত বলেছেন, ‘‘অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন।’’
শনিবারই দুষ্কৃতীদের পুলিশী মদতের প্রতিবাদে সোচ্চার নদীয়ার পলাশিও। কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের দিন তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় নিহত হয় কিশোরী তমন্না খাতুন। বোমা মজুত করার অভিযোগ সত্ত্বেও মোলান্দি গ্রামে তৃণমূল বুথ সভাপতির বাড়ি তল্লাশি চালায়নি পুলিশ। হামলার আশঙ্কা জানানো সত্ত্বেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। 
কারাত সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ভূমিকায়। বৃন্দা কারাত বলেছেন, ‘‘বারবার ধর্ষণ বা হত্যার মতো কাণ্ড ঘটছে কারণ মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা যাদের তারাই এই ধর্ষক এবং দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলছে।’’ 
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি সংবাদমাধ্যমে বলেন যে সব জায়গায় কি পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে? বলেছেন যে যে যাদের সঙ্গে ঘুরছে ঠিক করা উচিত তাদের সঙ্গে ঘুরবে কিনা। আরও বলেছেন যে বন্ধু যদি বান্ধবীকে ধর্ষণ করে কে নিরাপত্তা দেবে? বস্তুত নির্যাতিতাকেই দায়ী করেছেন তিনি। বাস্তবে নির্যাতিতা নিজেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী। যারা দলবেঁধে ধর্ষণ করেছে তারাও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ও কর্মী।
কারাত এই প্রসঙ্গেই বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের এই সাংসদ ‘রেপ কালচার’-র দূত। জঘন্য মন্তব্য। তাঁর বিরুদ্ধে কেন এফআইআর দায়ের করা হবে না? এমন কাউকে সংসদে পাঠানো হবে?’’
কারাত বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জির সরকার বাংলার মহিলাদের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment