Special Intensive Revision

পৃথক ফরমের দাবি ছিটমহলবাসীদের

রাজ্য জেলা

আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের কাজ খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এস বি জোশি এবং ডেপুটি সেক্রেটারি অভিনভ আগরওয়াল। রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল। বুধবার সন্ধ্যায় দেশের নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক, প্রশাসনিক আধিকারিক সহ এসআইআর-র কাজের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে কোচবিহারের উৎসব অডিটিরিয়ামে বৈঠক করেন।
কমিশন যখন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত, তখনও সীমাহীন অনিশ্চয়তা এবং নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্কে করলা, পোয়াতুরকুঠি, বাত্রিগাছ সহ কোচবিহার জেলার বিভিন্ন সাবেক ছিট মহল বাসী। এদিন কোচবিহার উৎসব অডিটিরিয়ামে কমিশনের বৈঠকের সময় অডিটরিয়াম সংলগ্ন আমতলা মোড়ে নিজেদের দাবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাদের। দাবি ছিল সাবেক ছিটমহলবাসীদের জন্য আলাদা এসআইআর ফরমের। এদিন নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কোচবিহার শহরে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। কারণ এদিনই কোচবিহারে আসেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। মূলত তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন এই সাবেক ছিটমহলবাসীরা।কিন্তু তাদের বক্তব্য শুনলেন না জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কেউই। হতাশায় ফিরে গেলেন নব্য ভারতীয়রা। 

পৃথক ফরমের দাবি নিয়ে ছিটমহলবাসীরা। 
এদিন আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর কোচবিহার উৎসব অডিটোরিয়ামে কোচবিহার জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের কাজের বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন জ্ঞানেশ ভারতী। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল।
এসআইআর-এ ২০০২সালের ভোটার তালিকাকে ভিত্তি করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ২০১৫সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে এই ভারত -বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি কার্যকর হয়। তাই স্বাভাবিক কারণেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই কোচবিহার জেলার সবকটি সাবেক ছিট মহলের বাসিন্দাদের। তাই তাদের জন্য পৃথক ফরমের দাবিতেই এদিন সমবেত হয়েছেন তাঁরা বলে জানান। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল জানিয়ে দেন, সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে সাবেক ছিটমহলবাসীদের এই সমস্যা মিটবে কিনা? তা নিয়ে দেখা দিচ্ছে সন্দেহ।

Comments :0

Login to leave a comment