রাষ্ট্রায়ত শিল্প বেসরকারিকরণ, শ্রম কোড বাতিলের দাবি,লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারের কর্মসংস্থানের দাবি, শিক্ষায় বানিজ্যকরণের সহ ১৭ দফা দাবিতে শিলিগুড়িতে মশাল মিছিল হয়েছে শনিবার। এদিন সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন সমূহের ডাকে আগামী ৯ জুলাই ধর্মঘটের সমর্থনে এবং পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জে তৃণমূলের বিজয় উল্লাসে ছোড়া বোমায় খুন হওয়া ১০ বছরের তামান্না খাতুন ও কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ভেতর তৃণমূলের নেতাদের দ্বারা ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের প্রতিবাদ জানানো হয় মিছিল থেকে। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনের ডাকে সমগ্র হিলকার্ট রোডে ধর্মঘটের সমর্থনে লিফলেট বিলি প্রচার করা হয়। নেতৃত্ব দেন সমন পাঠক, মোহন পান্ডা, বিমল পাল, তীলক গুন, অভিজিৎ মজুমদার, তাপস গোস্বামী, বাসুদেব বোস, পার্থ ভৌমিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এদিন সন্ধ্যায় সিপিআই(এম) শিলিগুড়ি ২ নং এরিয়া কমিটির ডাকে এই মশাল মিছিল অনিল বিশ্বাস ভবন থেকে বের হয়ে হিলকার্ট রোড ধরে এয়ারভিউ মোড়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সমন পাঠক, দিলীপ সিং, মুকুল সেনগুপ্ত, সৌরভ সরকার, তানিয়া দে, মুনমুন ভৌমিক, সুরজ কুন্ডু, নীলিমা রায়, মহাদেব সাহা, গঙ্গা রায় প্রমুখ। সিপিআই(এম) নেতা সৌরভ সরকার বলেন, ধর্মঘটের সমর্থনে সারা দেশের পাশাপাশি শিলিগুড়ি শহর শিলিগুড়িতেও প্রচার চলছে। শিলিগুড়ি শহর থেকে গ্রাম, পাহার, বিভিন্ন ওয়ার্ড, বাজার সর্বত্রই পথসভা,লিফলেট বিলি ও মিছিলের মাধ্যমে প্রচার চলছে। শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বদের সঙ্গে সিপিআই(এম) নেতৃত্ব ও কর্মীরাও বিভিন্ন এলাকায় ধর্মঘটের প্রচারে নেমেছে। শিল্প ও দেশ বাঁচাতে বিজেপি ও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে প্রচার চলছে। কসবা ও কালীগঞ্জের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সঠিকভাবে নির্বাচন হলে হেরে যাওয়ার ভয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘ বছর ধরে নির্বাচন না করে গায়ের জোরে কলেজ ক্যাম্পাসগুলো দখল করছে তৃণমূল। কলেজের ইউনিয়ন রুমগুলো এখন তৃণমূল গুন্ডাবাহিনীর অপরাধ করার জায়গা হয়েছে। নেতাদের মাথায় হাত থাকায় অপরাধীরা ক্রাইম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ রাজ্যে কর্মক্ষেত্র থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে কোথাও নারী রা সুরক্ষিত নয়। এদিনের মিছিলে ছাত্র-যুব-মহিলা- শ্রমিক ও প্রচুর সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। এদিন বিকেলে কালীগঞ্জ ও কসবার ঘটনার প্রতিবাদে অনিল বিশ্বাস ভবনের সামনে থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই দার্জিলিং জেলা কমিটি। মিছিল অনিল বিশ্বাস ভবন থেকে শুরু হয়ে হাসমি চক পর্যন্ত যায়। হাসমি চকে অবস্থান বিক্ষোভ করেন ডিওয়াইএফআইয়ের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাগর শর্মা, গোপাল পাল, স্বাস্বতী সাহা, বাবুসোনা সুত্রধর প্রমুখ।