বাড়ি ছিটমহলে। বিয়ে হয়েছে অন্যত্র। এসআইআর নিয়ে সমস্যায় সেই মহিলারা। নথিপত্র সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। শুক্রবার দিনহাটা মহকুমার শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিলো দিনহাটার বিভিন্ন সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা।
ছিট মহলের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন, আজিবর শেখ, সাদ্দাম হোসেন প্রমূখ ডেপুটেশন দেওয়ার সময় বলেন, "ছিটমহল বিনিময়ের আগে ভারত ও বাংলাদেশের বাসিন্দাদের সার্ভে হয়েছিল। সার্ভে তালিকায় সকল বাসিন্দাদের নাম থাকলেও ছিটমহলের যে সকল মেয়েদের ভারতের মূল ভূখণ্ডে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল তাদের নাম নেই। ছিটমহল বিনিময়ের সময় যাদের সার্ভে তালিকায় নাম রয়েছে তাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যাদের বিয়ে হয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে এসআইআর তারা সমস্যায় পড়েছেন। কারণ তারা ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা-মার নাম দেখাতে পারছেন না। ফলে হেয়ারিং সময় তারা সমস্যায় পড়েছেন। কারণ ওই সময় বাংলাদেশের ছিটমহলের বাসিন্দারা ভারতের নাগরিকত্ব অর্জন করেননি।"
এদিন বাসিন্দাদের তরফ থেকে মহকুমা শাসকের হাতে ডেপুটেশন তুলে দেবার সময় সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা হয়। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে মহকুমা শাসক বাসিন্দাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ভারতের ১১১ টি ছিটমহলের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫১টি ছিট মহল বিনিময় হয়। সেই সময় বাংলাদেশের ছিট মহলের বাসিন্দারা ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং ভারত সরকার তাদের নাগরিকত্বের নথিপত্র প্রদান করে। ফলে যাদের কাছে এই নাগরিকত্বের নথিপত্র রয়েছে এসআইআর তাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ছিটমহলের যে সকল মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে তারা কোনও নাগরিকত্বের নথি পান নি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন ঐ সকল মেয়েরা। সাবেক সিট মহলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এ ধরনের মহিলার সংখ্যা প্রায় ১০০০ জন। এ বিষয়ে দিনহাটা মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষ কাছে পাঠানো হয়েছে।
Comments :0