আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা যাতে ভারত থেকে বাংলাদেশ নিয়ে কোন বিবৃতি না দেন তার জন্য আবেদন জানিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু ভারত সরকার তার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ব্রিটেন সফরে গিয়ে এমনটাই জানালেন ইউনুস। তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে আমার কথা হয়। তার বলি যে, আপনারা যদি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে চান তো করুন, তাতে কোন বাধা নেই। কিন্তু ভারতে বসে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি যে ভাবে অডিও বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন তাতে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হচ্ছেন।’ ইউনুস আরও বলেন যে মোদী তাকে পাল্টা বলেছেন, হাসিনা বিবৃতি দিচ্ছেন সোশাল মিডিয়ায়, সেখানে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। 
বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কথায় তারা ভারতের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে চায়, কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন খবর দুই দেশের সুসম্পর্কের মধ্যে বাধা তৈরি করছে। বিদেশের মাটিতে ইউনুস দাবি করেছেন তাঁর সরকার আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি। তবে তিনি বলেছেন যে হাসিনা এবং তাঁর দলের নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লিগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তবে আওয়ামি লিগের নির্বাচনে লড়া নিয়ে বিদেশের মাটিতে প্রশ্ন তুলেছেন ইউনুস। 
তবে ইউনুসের বিদেশ সফর মোটে সুখকর হয়নি। সেখানে গিয়ে তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। অভিবাসী বাংলাদেশীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁর ভাষণের আগে। তাঁর সরকার নির্বাচিত না হয়ে কিভাবে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেতে পারে, বিক্ষোভ থেকে তা নিয়েও উঠেছে স্লোগান। ইউনুস আবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও দেখা করতে পারেননি। ইউনুসের দাবি, হাসিনার সময়ের অনেক কালো টাকা ব্রিটেনে পাচার হয়েছে। সেই টাকা উদ্ধার করে তাঁর সরকারে বাংলাদেশে নিয়ে যেতে চায়। এই বিষয় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সাথে তিনি দেখা করার সময় চাইলেও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সময় দেননি।