Mamata Banarjee

ফের একলা লড়ার ইঙ্গিত মমতার

জাতীয় রাজ্য

ফের ইন্ডিয়ার বোঝাপড়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার দেগঙ্গায় দলীয় সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘গোটা দেশে বিজেপির মোকাবিলা করবে ইন্ডিয়া, আর রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে তৃণমূল।’’

এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফের বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন। সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস লাগাতার তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে বলে তাদের বিজেপির সঙ্গী বলে অভিযোগ করেছেন মমতা ব্যানার্জি।

বিজেপি বিরোধী দল গুলোকে নিয়ে যেই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে তার অন্যতম শরিক তৃণমূল। প্রথম থেকেই মমতা আসন ভাগাভাগি নিয়ে উৎসাহী। তাঁর দাবি, যে রাজ্যে যার শক্তি বেশি সেই রাজ্য তাকে ছাড়তে হবে। চলতি মাসে দিল্লির যেই বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, সেখানে হঠাৎ করেই তৃণমূল নেত্রী প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করেন। যদিও সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা বেশি দূর গড়ায়নি। 

কিন্তু এই নাম ঘিরে রাজনৈতিক মহলে খানিক অস্বস্তিও তৈরি হয়। রাহুল গান্ধী এবং খাড়গেকে উদ্যোগ নিতে হয় অস্বস্তি কাটাতে।

আসন সমঝোতা নিয়ে সিপিআই(এম) – এর পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই দাবি করে আসা হয়েছে রাজ্য ভিত্তিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আসন সমঝোতা হবে। সেটাই মান্যতা পেয়েছে ইন্ডিয়ার বৈঠকে। 

পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থী নেতৃবৃন্দ বারে বারেই বলেছেন যে, তৃণমূল ইন্ডিয়া মঞ্চের সমঝোতাকে দুর্বল করার চেষ্টা করবে। বিজেপিকে দুর্বল করা আসল লক্ষ নয়, আসল লক্ষ হচ্ছে নিজের পক্ষে আসন সমঝোতা নিশ্চিত করা। 

সাগরদিঘি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফলাফলের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা একাই লড়বে। কোন জোটে অংশ নেবে না তৃণমূল। 

এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘‘নাগরিকত্বের বিষয়টিকে বিজেপি তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। এই বিষয় জেলা প্রশাসন আগে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। কিন্তু নতুন আইনে তাদের সেই ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কোন ব্যাক্তি যদি নাগরিক না হয় তাহলে তারা কি ভাবে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা গুলো পাচ্ছে?’’

নির্বাচনের আগে অমিত শাহ থেকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব নাগরিকত্বের বিষয়টি তুলে ধরে। অন্যদিক মমতা ব্যানার্জিও তার স্বার্থে ব্যবহার করেন এই বিষয়টিকে। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম একাধিকবার বলেছেন, নির্বাচনের সময় দুই দলের পক্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া দেওয়া হয়, তারপর নির্বাচনের পর এই বিষয় নিয়ে তারা কোন কথা বলেন না আর।

উল্লেখ্য নাগরিকত্ব আইনের বদল আনা শুরু হয় অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারের সময়। যেই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন মমতা ব্যানার্জি। সেই সময় সংসদের তৃণমূল নেত্রী একাধিকবার অভিযোগ করে এসেছেন যে বাঙালীদেশি মানুষদের ভোটে বামফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়। সংসদের হুজ্জতিও করেছেন তিনি এই নিয়ে।

মন্তব্যসমূহ :0

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন