হুগলির বলাগড়ের বাকুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করিন্যা গ্রামের প্রায় কারোরই নাম নেই ২০০২ এর ভোটার তালিকায়। নির্বাচন কমিশন ওই তালিকায় নাম ধরে এসআইআর করতে বলেছে। বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিলি করেছেন। কিন্তু ফর্ম ভরতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে গ্রামের কারোর নাম নেই ২০০২ এর তালিকায়।
ওই তালিকায় নাম থাকলে সহজেই এসআইআরে নাম চলে আসবে বলেছে নির্বাচন কমিশন। যাদের ২০০২ নাম নেই তাঁদের বাবা অথবা মায়ের নাম থাকলেও হবে। কিন্তু গ্রামবাসীদের অনেকের মা বাবার নামও নেই ভোটার তালিকায়। অথচ বাকুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করিন্যা গ্রামবাসীরা ভোট দেন। ২০০২ সালে যা ছিলো ৫৯ নম্বর বুথ এখন তা হয়েছে ৬৯ ও ৭০ নম্বর। দুশ্চিন্তায় কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন গ্রামবাসীরা। যারা ভীন রাজ্যে থাকেন তারা অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে পারছেন না। ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ম্যাপিং করা নেই বলে, জানান বাকুলিয়া পঞ্চায়েত।
গ্রামবাসীদের দাবি, বছরের পর বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করছেন, সরকারি সমস্ত নথি — আধার, রেশন কার্ড, জমির দলিল, এমনকি ভোটার আইডিও তাঁদের হাতে রয়েছে। তবুও তালিকায় তাঁদের নাম উধাও। এতে অনেকে আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে তাঁরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
করিন্যা গ্রামের এক বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষয়টি ইতিমধ্যেই নির্বাচন দপ্তরে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে জেলা প্রশাসনের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেন এত মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, "আমরা এই মাটিতে জন্মেছি, বড় হয়েছি, কিন্তু হঠাৎ শুনছি আমাদের নাম ভোটার লিস্টে নেই। এখন সবাই ভয় পাচ্ছে ‘ডি ভোটার’ বলে চিহ্নিত করা হবে। গ্রামের যে সকল মেয়েদের বাইরে বিয়ে হয়েছে তারাও ফর্ম ফিলাপ করতে পারছে না লিস্টে নাম না থাকার জন্য।"
গ্রামের মানুষ এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা ব্লক অফিসে ঘুরছেন নিজেদের নাম ফেরানোর আশায়। আবার কেউ কেউ আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন।
Comments :0