TMC Partha Chatterjee

পার্থ নিজেকে তৃণমূল বললেও, দল এখনই তাকে কাছে টানছে না

রাজ্য

পার্থ চ্যাটার্জি নিজেকে তৃণমূলের অংশ বলে দাবি করলেও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাকে এখনই কাছে টেনে নিতে রাজি নয়। তৃণমূল সূত্রে খবর কালীঘাটের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে দলের নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থকে নিয়ে সচেতন ভাবে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে। তার কারণ তাকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে দল। তৃণমূলের কথায় পার্থ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন মাত্র। এখনও পর্যন্ত তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়নি।
উল্লেখ্য শুধু পার্থ নয়, তৃণমূলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তারা জেলেও গিয়েছেন আবার সিবিআই ইডির ব্যার্থতায় জামিন পেয়ে দলের কাজে সক্রিয়ও হয়েছেন। রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বালু বর্তমানে জামিনে রয়েছেন, কিন্তু তিনি দলের কাজে সক্রিয়। সারদা মামলায় জেলে থাকা কুনাল ঘোষ তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়ে ফের তৃণমূলে ফিরেছেন। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলও জেলে খেটেছেন। তাহলে এখানে প্রশ্ন থাকছে পার্থ চ্যাটার্জির সাথে কেন দুরত্ব তৈরি করছে দল।
তৃণমূলের একটা অংশের কথায় পার্থর বান্ধবীর ঘর থেকে যে ভাবে টাকা এবং সোনা উদ্ধার হয়েছে তাতে দলের ভাবমূর্তি প্রকাশ্যে নষ্ট হয়েছে। বাকিদের ক্ষেত্রে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। বাকি যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তারাও যে নির্দোষ সেটাও প্রমাণিত হয়নি। 
যেদিন থেকে পার্থ গ্রেপ্তার হয়েছে সেদিন থেকেই একটা প্রশ্ন রাজ্য জুড়ে ঘুরছে তা হচ্ছে মন্ত্রিসভার সদস্য দুর্নীতি করছে মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না? কেন মন্ত্রিসভার অনুমোদনে সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি হলো? এই বিপুল টাকার মালিক কে বা কারা? কেন নিজের বান্ধবীর কাছে এই টাকা রেখেছিল পার্থ? এই সবের উত্তর আজও জানা যায়নি।
জেলে যাওয়ার আগে পার্থ ছিলেন দলের মহাসচিব, বলা যেতে পারে মমতা ব্যানার্জির পরেই ছিল তার স্থান। বর্তমানে ওই পদে এখন কেউ নেই। কিন্তু দলের অভ্যন্তরে মমতার পরে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে অভিষেক ব্যানার্জি। বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তাকে সামনে দেখা যাচ্ছে। আর অভিষেকের এই উত্থানের পরপরই তৃণমূলে নব্য আদি দ্বন্দ প্রকাশ্যে এসেছে।
পার্থ জেল থেকে বাইরে আসার পর দলের পক্ষ থেকে সেই ভাবে কেউ দেখা করতে যায়নি। এমনকি তার অনুগামী ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্যকেও না। শুধুমাত্র দেখা গিয়েছে বেহালা পশ্চিমের কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তার সাথে এসে দেখা করে গিয়েছেন, তার নামে স্লোগান দিয়েছেন। জেল মুক্তির পর বেহালা পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন তিনি বিধানসভার অধিবেশন যোগদান করবেন। সেখানে গিয়ে নিজের কথা বলার চেষ্টা করবেন। এখন দেখার এক সময় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসা পার্থর বিধানসভায় অবস্থান কোথায় হয়।

Comments :0

Login to leave a comment