মীর আফরোজ জামান: ঢাকা
গোপালগঞ্জে নিহত ৪ জনের দেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই শেষকৃত্য হয়েছে। বাংলাদেশে তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী শুক্রবার বলেছেন, ময়নাতদন্ত না হওয়ায় নিহতেরা কাদের ছোঁড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন তা জানার উপায় থাকল না।
গত বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লিগের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে পুরো শহরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের জেরে চারজন নিহত হন। অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ। প্রায় পঞ্চাশ। এসব ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
শহর ও আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। আওয়ামি লিগ ও ছাত্রলিগের নেতার্কর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকদের অনেকে এলাকা ছেড়ে গেছেন। কোলাহলবিহীন শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদের।
আগের দিন সংঘর্ষের সময় নিহতদের মধ্যে পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহার শেষকৃত্য হয়, বুধবার রাতে, পৌর শ্মশানে।
টাইলস মিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজী, মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও চিনামাটির বাসনপত্র দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদারের শেষকৃত্য হয়েছে।
পুলিশ বলছে, পরিবার আগেই হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে যাওয়ায় সুরতহাল বা ময়নাতদন্ত করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যরা কেউ কোনও কথা বলতে চাইছেন না।
Comments :0