মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ফের একবার বিজেপিকে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী। সর্বভারতীয় একটি সংবাদপত্রে তিনি লিখেছেন পাঁচটি পর্যায়ে ভোটে কারচুপি করে জয়ী হয়েছে বিজেপি ও তার সঙ্গীরা। রাহুল বলেছেন, প্রথমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ মতো লোককে বসানো হয়, দ্বিতীয় পর্যায়ে ভুয়ো ভোটারের নাম তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়, তৃতীয় ভোটদানের হার বেশি করে দেখানো, চতুর্থ বিজেপির যেখানে জেতা প্রয়োজন সেখানে ভুয়ো ভোট বেশি দেওয়া, পঞ্চম সব প্রমান নথি নষ্ট করে দেওয়া। 
রাহুল গান্ধীর কথায় ২০২৩ সালে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে যেই সংশোধনী আইন পাশ করিয়েছে মোদী সরকার তাতে কমিশনার স্বচ্ছতা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। আগে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রেই যেই কমিটি গঠন হতো তাতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, বর্তমানে নতুন আইনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বদলে সেই জায়গায় এসেছেন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং এক ক্যাবিনেট মন্ত্রীর এই কমিটি মুখ্য-নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের বিষয় রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করে তারপর রাষ্ট্রপতি তাতে অনুমোদন করে। রাহুলের কথায় এই কমিশনার বাছাইয়ের প্রক্রিয়া প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে ঝুঁকে।
তবে বিজেপির পক্ষ থেকে রাহুলের এই লেখার পর তাকে কটাক্ষ করা হয়েছে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালন্য বলেছেন, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ইচ্ছাকৃত ভাবে এই সব কথা বলে সাধারণ ভোটারদের মনে সন্দেহ তৈরি করছে নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্র করে। মালব্যর কথায়, কংগ্রেস যেই যেই রাজ্য গুলোয় জয়ী হয়েছে সেখানে স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন হয়েছে আর যেখানে বিজেপি এবং তার শরিকরা জয়ী হয়েছে সেখানেই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নেই। বিজেপির দাবি নিজেদের রাজনৈতি স্বার্থে এই কাজ করছে কংগ্রেস। 
রাহুল এক্সহ্যান্ডেলে লিখেছেন, ২০২৪ এর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ন ভাবে গণতন্ত্রকে শেষ করে দেওয়ার একটা নকশা তৈরি করেছে। মহারাষ্ট্রে যেই নির্বাচনী কারচুপি হয়েছে তা এবার বিহারে হবে, পরবর্তীতে সব রাজ্যে হবে যেখানে যেখানে বিজেপির পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।   
উল্লেখ্য গত নভেম্বর মাসে হওয়া মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীদের দাবি নির্বাচনে কারচুপি করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি, অজিত পাওয়ারের এনসিপি এবং একনাথ শিন্ডের শিবসেনার জোট ‘মহাযুতি’। ২৮৮টি আসনের মধ্যে তাদের দখলে ২৩৫টি আসন।