ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা আক্রমণ করেছে মিথ্যা অজুহাতে। এই অন্যায় আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে গোটা বিশ্বকে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধনীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দিয়েছে কিউবা, ভেনেজুয়েলার জন্য দেশগুলির গোষ্ঠী ‘আলবা’।
‘দ্যা বলিভেরিয়ান অলটারনেটিভ ফর দ্যা পিপলস অফ আওয়ার আমেরিকা’ বা আলবার সদস্য কিউবা, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, নিকারাগুয়া, ডমিনিকান কমনওয়েলথ, অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুয়ার মতো লাতিন আমেরিকার দশটি দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বরবার অবস্থান নিয়েছে এই গোষ্ঠী।
‘আলবা’-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘অন্যায়, বেআইনি এবং একতরফা অবস্থান নিয়ে আমেরিকা ইরানের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। গোটা বিশ্বকে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হতে হবে। ইরানের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংহতির ওপর আক্রমণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’
সুদূর দক্ষিণ আমেরিকা থেকে প্রতিবাদের কড়া ভাষা শোনা গেলেও মুখ বন্ধ রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ ইরান ভারতের বরাবরের বন্ধু দেশ। আমেরিকার একতরফা আক্রমণের কড়া নিন্দা না করে বরং ইরানের রাষ্ট্রপতিকে উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দিয়েছেন মোদী।
বিশ্বের দেশে দেশে যদিও চলছে প্রতিবাদ। এমনকি খোদ আমেরিকায় প্রতিবাদ হয়েছে ইরান আক্রমণের। গত রবিবার আমেরিকা বোমা ফেলার আগে ইজরায়েলকে ইরান আক্রমণে মদত দেওয়ার জন্যও হয়েছে প্রতিবাদ। নিউ ইয়র্কে হয়েছে বিশাল মিছিল। প্রতিবাদ হয়েছে লস এঞ্জেলসে। রাজধানী ওয়াশিংটনে প্রতিবাদে দলে দলে নেমেছেন নাগরিকরা। পোস্টারে লেখা থেকে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পকে।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্প এবং তাঁর বি-টু বোমারু বিমান নিয়ে টানা শৌর্য প্রচারের পর এখন ঢোঁক গিলছে। ভারতীয় সময়ে, সোমবার দুপুরে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে যে ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে রাজধানী তেল আভিভের বিভিন্ন এলাকায় নাগরিকদের সুরক্ষিত আশ্রয়ে পাঠাচ্ছে ইজরায়েল। দেশের অন্য শহর হাফিয়ায় ঘনঘন বাজছে বিপদসঙ্কেত।
আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিবাদী দায়ী করছেন ইজরায়েলকে। কারণ বিনা প্ররোচনায় ইজরায়েল গত ১৩ জুন রাতে ইরানের ওপর হামলা চালায়। ইরানের নাগরিকরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে যে হামলা আদৌ কেবল পরমাণু কেন্দ্রে হয়নি। হামলা হয়েছে বসতি এলাকায়। বহু নিরস্ত্র মানুষ আহত। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৪৭০ জন নিরস্ত্র নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে।
সোমবার ভিয়েনায় জরুরি বৈঠকে বসছে আন্তর্জাতিক পরমাণু কেন্দ্র নজরদারির সংস্থা আইএইএ। এই সংস্থাও ১৯ জুন জানিয়েছিল যে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে এমন প্রমাণ তাদের হাতে নেই। তারপরও পরমাণু অস্ত্রকে অজুহাত করে ইজরায়েলের হামলায় যোগ দিয়েছে আমেরিকা।
এদিন দুপুরে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ইরানের সরকারি সংবাদসংস্থা ‘ইরনা’ জানিয়েছে যে এভিন জেলে পড়েছে ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র। তবে এই জেলখানা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিনই রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করছেন ইরানের বিদেশ মন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
IRAN ALBA
ট্রাম্পের হামলার প্রতিবাদে কিউবা-ভেনেজুয়েলা, শক্তি বোঝাচ্ছে ইরানও

×
Comments :0