জয়েন্ট ফোরামের আহ্বানে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার চা শ্রমিকরা ১২ দফা দাবিতে ২৩, ২৪, ২৫ জুন গেটসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়। দাবিগুলিকে বাস্তবায়িত করা ও ৯ জুলাই ধর্মঘটের সমর্থনে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করেও সোমবার চা বাগানে গেটসভা হয়। জলপাইগুড়ি শহরের ৫ কিমি দূরে করলাভ্যালি চা বাগান, বানারহাটের মঙ্গলকাটা সহ কয়েকটি বাগানে সভা হয়। আগামী ২৪-২৫ সব বাগানে সভা হবে বলে জয়েন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। শ্রমিকদের দাবিগুলিকে অবিলম্বে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আগামী ৯ জুলাই সারাদেশের সাথে চা শ্রমিকরাও ধর্মঘটের শামিল হবেন। ধর্মঘটের সমর্থনে সোমবার বৃষ্টিতে ভিজে বাগানে বাগানে সভা সংঘটিত হয় সভায় প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক তাদের দাবির স্বপক্ষে সামিল হন।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি, শ্রমিকদের আইনসম্মত দাবিগুলি বাগান মালিকরা পূরণ করছে না। ২০১৫ সালে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মধ্য দিয়ে ন্যূনতম মজুরির জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তারা ইতিমধ্যেই ২০ থেকে ২২ টি মিটিং করেছে। আজও শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। স্থায়ী-অস্থায়ী, সব মহিলা শ্রমিকদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির দাবি জানিয়েছে জয়েন্ট ফোরাম। বাগান শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা যেখানে বসবাস করছেন সেখানেই তাঁদের জমির পাট্টা দিতে হবে। চা শ্রমিকদের ৩৫ কেজি খাদ্যসামগ্রী বিতরণের দাবিও জানানো হয়। শ্রমিকদের ছেলেমেয়েরা যেসব সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে সেখানে শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিও জানানো হয়েছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, টি বোর্ড পাতা তোলা শুরু ও বন্ধের তারিখ যেভাবে ঘোষণা করছে তাতে মালিক এবং শ্রমিক, উভয়পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাগান বন্ধ ও খোলার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের জন্য যেসব প্রকল্প ঘোষণা করেছে তা বাস্তবায়িত করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, কাঁচা পাতার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিও জানানো হয়। সভার পরে ১২ দফা দাবি সম্বলিত দাবিপত্র বাগানের ম্যানেজারের হাতে তুলে দেওয়া হয় চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে। সদর ব্লকের করলা ভ্যালি চা বাগানের সভায় বক্তব্য রাখেন প্রফুল্ল লাকড়া, গোবিন ওরাও, সুনিতা বাগ, ধ্রবজ্যোতি গাঙ্গুলী। উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা কৃষ্ণ সেন, মৃণাল রায়, শুভাশিস সরকার প্রমুখ। বানারহাটের মঙ্গলকাটা চা বাগানে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ শ্রমিক নেতা তিলক ছেত্রী।
General Strike
ধর্মঘটের শামিল হবেন উত্তরবঙ্গের চা বাগানের শ্রমিকরাও

×
Comments :0