ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। শুক্রবার বিকেলে বর্ষীয়ান পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করেন। পার্টি হুগলী জেলা সম্পাদক এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবব্রত ঘোষও গিয়েছেন ফুরফুরায়।
ইব্রাহিম সিদ্দিকি তাঁর মাথার ক্ষত দেখান সুজন চক্রবর্তীকে। তিনি বলেন, ‘‘কোনও মাজারে পুলিশ আক্রমণ করতে পরে ভাবতে পারছি না। মমতা ব্যানার্জি সুপরিকল্পিত ভাবে এই আগুন লাগাতে চাইছে। আরএসএস এর কাছে উনি দুর্গা। বাংলার মানুষ সবটাই বুঝতে পারছেন।’’
দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘ফুরফুরা পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম) ও আইএসএফ যৌথভাবে লড়াই করে জিতে গিয়েছিল। জোর জব্বরদস্তি করে, গুন্ডা-মস্তান ও পুলিশ দিয়ে , নির্বাচন কমিশন ফল উল্টে দেয়। ভূ-ভারতে এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই। আমাদের জেলা সহ গোটা রাজ্যের বহু জায়গায় জেতা ফলাফল উল্টে দেওয়া হয়েছে।’’
ফুরফুরার ফল নিয়ে মামলা বিচারাধীন। বৃহস্পতিবার এর মধ্যেই বোর্ড গঠন শুরু হয় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে। জনতার রায় উলটে দিয়ে আদালতকেও অগ্রাহ্য করে বোর্ড তৃণমূল দখল নেওয়ায় প্রতিবাদ জানান স্থানীয়রা। পুলিশ লাঠির মুখে প্রতিবাদ দমাতে নামে।
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভাঙড়ে পুলিশের সাহায্য নিয়ে তৃণমূল গুন্ডামি করেছে। আর ফুরফুরায় তৃণমূল কিছু করতে পারবে না জেনে পুলিশে লেলিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখেছি যে পুলিশ নিজে আক্রমণ করছে। সারা পশ্চিমবাংলায় জল্লাদের রাজত্ব চলছে। শাসক দল ব্যাকফুটে। মনোনয়ন থেকে শুরু করে ভোট গণনা সমস্ত শাসক দল গন্ডগোলের পরিবেশ তৈরি করছে।’’
পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে আক্রমনের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে সিঙুর থানায় রাখা হয়। শুক্রবার তাঁদের শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন , চাঁদ কুমার দাস, শেখ হাসেম, শেখ নাসিরুদ্দীন, আলি হোসেইন, শেখ জাহিরুল ইসলাম। তাঁরা বলেন আমরা কোন দলের সাথে যুক্ত নই। পুলিশ আমাদের রাস্তা থেকে ধরেছে।
Comments :0