No extra force in sensitive booths

স্পর্শকাতর বুথেও বাড়তি বাহিনী রাখছে না পক্ষপাত দুষ্ট কমিশন

কলকাতা

পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগে লাগাতার রক্ত ঝড়ছে পশ্চিম বাংলায়। ইতিমধ্যে প্রান গিয়েছে ১৭ জনের। এতো হিংসার পরেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন মাত্র ৮টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারপরেও সেই সব স্পর্শকাতর বুথে থাকছে না কোনও বাড়তি বাহিনী বৃহষ্পতিবার জানাল নির্বাচন কমিশন। নামেই স্পর্শকাতর বুথ আদপে সাধারণ বুথের মতোই বাহিনী থাকছে সেখানে। ৬১ হাজার ৬৩৬টি বুথের প্রত্যেকটিতে একজন জওয়ানের সঙ্গে একজন সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ থাকবেন। আর ভোটের লাইন ঠিক করার জন্য থাকবে একজন লাঠিধারী সিভিক ভলান্টিয়ার।


আদালতের নির্দেশের পরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে বারবার প্রশ্ন করেছে কমিশনকে। ভোটের আগে এতো সন্ত্রাস হওয়ার পরেও মাত্র ৮টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করে কমিশন। কিন্তু বাস্তবে স্পর্শ কাতর হিসেবে চিহ্নিত করা উচিৎ ছিল আরও অনেক বুথকে। স্পর্শকাতর বলে সাধারণ বুথের মতোই বাহিনী রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বামফ্রন্ট। পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা হচ্ছে ভোটারদের লাইন ঠিক করার জন্য। ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করার বিরোধিতা করা হয়েছিল। তারপরেও ভোটের লাইন ঠিক করবেন সিভিক ভলন্টিয়ার তা নিয়েও সরব হয়েছেন বিরোধীরা।


কিন্তু কারোর কোনও দাবিতেই কর্ণপাত করতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। কার্যত রাজীব সিনহা আদালতের কাছে ভর্ৎসিত হয়েছেন। এমনকি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছেও ভর্ড়সিত হন তিনি। কিন্তু তারপরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো নিয়ে তার অনিচ্ছা স্পষ্ট। কার্যত তিনি যে তৃণমূল সরকারের নির্দেশেই কাজ করছেন তা বলছে সাধারণ মানুষও।

Comments :0

Login to leave a comment