MA BABY on IRAN

আমেরিকার একতরফা হামলার কড়া নিন্দা করুক ভারত, দাবি বেবির

জাতীয়

রবিবার আমেরিকার হামলার বিরুদ্ধে গোয়ালিয়রে প্রতিবাদ মিছিলে এমএ বেবি।

নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আমেরিকার আক্রমণের কড়া নিন্দা করতে হবে। শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে। রবিবার এই দাবি করেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি। তিনি বলেছেন, আমেরিকার বিশেষ যুদ্ধ বিমান ইরানের তিনটি জায়গায় বোমা ফেলেছে। ট্রাম্পের নির্দেশে এই আক্রমণ। তিনি বলছেন এই আক্রমণ করা হয়েছে কারণ ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেছে। অথচ আমেরিকার সেনেট কমিটিকে গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে এমন কোনও তথ্য নেই। ১৯ জুন আইএইএ’র প্রধান জানান যে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তা’হলে কিসের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে এই আক্রমণ? 
রবিবার একথা বলেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি। এদিন মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রে ইরানের ওপর আমেরিকার আক্রমণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন বেবি। তিনি বলেছেন, ইরান ভারতের বরাবরের বন্ধু দেশ। কঠিন সময়েও ভারতকে সমর্থন দিয়েছে ইরান। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার নিশ্চুপ থাকার অবস্থান নিয়েছে। মোদী সরকারের ভূমিকা অসন্তোষজনক। 
উল্লেখ্য, এদিন ইরানের রাষ্ট্রপতি ফোনে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। 
এদিকে ইরান পরিষ্কার জানিয়েছে যে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপস করা হবে না। দেশের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি তুরস্কে বলেছেন, ‘‘আমেরিকার আক্রমণ নিন্দাজনক। কিন্তু ইরান সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব শক্তি একত্র করবে।’’ আরাঘচি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। রাশিয়া এবং চীন আমেরিকার এই হামলার কড়া নিন্দা করেছে। 
আমেরিকার আক্রমণের পর ইরান এদিন ইজরায়েলের তেল আভিভ সহ সংলগ্ন এলাকায় দু’ধাপে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। ইজরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে আহতের সংখ্যা ৮৪ ছাড়িয়েছে। 
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক রবিবার জানিয়েছে যে গত ১৩ জুন থেকে ইজরায়েলের আক্রমণের জেরে নিহতের সংখ্যা ৪৩০। আহত আরও বহু সাধারণ নিরস্ত্র মানুষ। ইজরায়েল যা বলছে আদৌ তা নয়, কেবল ইরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র বা সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ হচ্ছে না। ইরানের বসতি এলাকা লক্ষ্য করেও আক্রমণ হানছে ইজরায়েল। 
বেবি বলেছেন, ইজরায়েল কোনো প্ররোচনা ছাড়াই আক্রমণ করেছে ইরানকে। এবার আমেরিকা যোগ দেওয়ায় সংঘাতের পরিধি আরও ছড়াবে। তিনি বলেন, ভারত সরকারের উচিত ছিল এই আক্রমণের কড়া নিন্দা করা। তা হয়নি। ভারত আমেরিকার স্ট্র্যাটেজিক সঙ্গী হয়েছে। ভারত-মার্কিন অসামরিক পরমাণু সমঝোতা যেন ভারতের যুদ্ধবিরোধী অবস্থানের পক্ষে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। 
বেবি বলেন, এই আক্রমণের প্রভাব বিশ্ব এবং ভারতের অর্থনীতিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে ভারতে তেলের দাম বাড়বে। এখনই মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল দেশের মানুষ, সেই চাপ আরও বাড়বে।

Comments :0

Login to leave a comment