Left Front Rally

ঐক্য সংহতি সম্প্রীতির ডাকে কলকাতায় মিছিল বামফ্রন্টের

রাজ্য

ধর্মতলা থেকে বামফ্রন্টের ডাকে মিছিলে বিমান বসু সহ নেতৃবৃন্দ। ছবি ও ভিডিও: প্রিতম ঘোষ

অরিজিৎ মণ্ডল  

দেশের সংহতি সম্প্রীতি ও মানুষের ঐক্যের পক্ষে শুরু হয়েছে বামফ্রন্টের মিছিল। মিছিলে রয়েছেন বামফ্রন্টের সভাপতি বিমান বসু সহ নেতৃবৃন্দ।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। গত ৬ মে মাঝরাতে সামরিক অভিযান শুরু করে ভারত। ১০ মে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হয়। 
এই পর্বে উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তি ঐক্য মজবুত করার বদলে বিভাজন ছড়াতে তৎপর হয়েছে। বিভাজনের এই কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানিয়েছে বামফ্রন্ট। জনতার ঐক্যরক্ষার বার্তায় সোচ্চার এই মিছিল। বামফ্রন্টের সভাপতি বিমান বসু বলেছেন, ২৫ জন পর্যটক এবং কাশ্মীরের এক টাট্টুচালক নিহত হয়েছেন সন্ত্রাসবাদী হামলায়।

 কাশ্মীরের সেই  মানুষ যে প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিহত হলেন তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করা হলো না। এটা সঠিক নয়। 
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ আগে। দেশের মানুষের ঐক্য আগে। দেশের মানুষের মধ্যে বিরোধ বিভাজন তৈরি করার স্বার্থ বড় হতে পারে না। বসু বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভারতে যারা তারাই পাকিস্তানে সংখ্যালঘিষ্ঠ। ধর্মের বেশে চলার চেষ্টা হলে সর্বনাশ হবে। রবীন্দ্রনাথ সে কথাই বলে গিয়েছেন
বসু বলেছেন, কার ধর্ম কী, বর্ণ কী, জাত কী খুঁজতে যাওয়ার দরকার নেই। আমাদের রাজ্যে বাইরের রাজ্য থেকে মানুষ এলে তাকে বহিরাগত বলা হচ্ছে। তাঁরা তো ভারতীয়, তা’হলে বহিরাগত হলো কী করে?
বসু বলেন, সামাজিক দিক থেকে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ঐক্য সংহতি সম্প্রীতির প্রতি বিপদ দেখা দিয়েছে। তাকে রক্ষার জন্য করছি এই মিছিল।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, পাকিস্তানের হামলার নিন্দা করছি। কিন্তু আগে ট্রাম্পকে কেন ঘোষণা করতে হলো সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত। এটা ঠিক নয়। আমরা আগেই বলেছিলাম।
মোদী বলেছেন আলোচনা হলে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কেবল কথা হবে। সে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে বসু বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হোক। মোদী যা বলতে চান বলুন। পাকিস্তানের কী বক্তব্য বলুক। নিষ্পত্তি করতে হবে এই সমস্যার। আলোচনা হলে মানুষের কাছেও পরিষ্কার হয়ে যাবে কার বক্তব্য ঠিক।

Comments :0

Login to leave a comment