TMCP Mamata Banarjee

শিক্ষা ক্ষেত্রে ড্রপ আউট থেকে নিয়োগ দুর্নীতি, নীরব মমতা

রাজ্য

শিক্ষা ক্ষেত্রে ড্রপ আউট, নিয়োগ দুর্নীতি, আট হাজার স্কুল বন্ধ নিয়ে টিএমসিপির সমাবেশ থেকে একটা কথাও বললেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির মতো তিনিও নীরব থাকলেন নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রসঙ্গে।
এদিন সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যের আয় বেড়েছে এতো বিরোধী সত্ত্বেও। সরকার ৬৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্যের শিক্ষার পরিকাঠামো তৈরি করার ক্ষেত্রে। প্রতিবছর সরকারি স্কুলের ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হয়। ৫৩ লক্ষ পড়ুয়াকে ফোন দেওয়া হয়েছে। ৯২ হাজার পড়ুয়া স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পেয়েছে। মিড ডে মিল দেওয়া হয় পড়ুয়াদের।’
উল্লেখ্য কেন্দ্রের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতিকে মান্যতা দিয়ে পাঠক্রম সহ বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন এনেছে রাজ্য সরকার। স্কুল পাঠ্যে চালু হয়েছে সেমিস্টার ব্যবস্থা। একাধিক স্কুল নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ক্লাস্টার। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তার সরকার রাজ্যে নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে। কিন্তু সরকারি স্কুলে কেন ছাত্র সংখ্যা কমছে। কেন আট হাজার স্কুল তুলে দেওয়ার কথা বলছে সরকার। কেন রাজ্যের স্কুল গুলোয় পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই সেই নিয়ে একটাও কথা বললেন না মমতা। প্রতিবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিকে ড্রপ আউটের সংখ্যা কেন বাড়ছে তার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি মুখ্যমন্ত্রী কথায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উত্তর নেই রাজ্যে বেড়ে চলা বাল্য বিবাহের ঘটনার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রসঙ্গেও কোন কথা বলেননি মমতা ব্যানার্জি। 
উল্টে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির কথা শোনা গেলো তার মুখে। তিনি বলেন, তার রাজনীতিতে হাতে খড়ি ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। সেই সময় পার্থ চ্যাটার্জি ছিল তার সিনিয়র।
২০১৭ সালের পর থেকে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় হয়না ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এই বিষয় সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে বার বার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার এদিন এই বিষয় নিয়েও কোন কথা শোনা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেকের মুখে। 
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় হয় না ছাত্র সংসদ নির্বাচন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লোকেরা ছাত্র সংসদের ঘর দখল করে ক্যাম্পাসের মধ্যে একাধিক অসামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর কলেজে ভর্তির সময় মোটা টাকার বিনিময় সিট বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। 
জয়েন্টের ফল প্রকাশ নিয়ে নিজেদের দিক থেকে দায় ঠেলে ফেলার চেষ্টা এদিন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘জয়েন্টের ফল প্রকাশ দেরি হওয়ার জন্য আমাদের কোন দোষ নেই। যারা আদালতে গিয়ে মামলা করেছে তারা এর জন্য দায়ী।’
রাজ্যের মোট কলেজের আসন সংখ্যা ৯.৫ লক্ষ। তার মধ্যে ভর্তি হয়েছে মাত্র ৩.৫ লক্ষ। কেন সরকারি কলেজ গুলোয় আসন খালি থাকছে। ভর্তি কমছে সেই নিয়ে কোন উদ্বেগ দেখা যায়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথায়।

Comments :0

Login to leave a comment