দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। জাতীয় সড়কে লরির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পাঁচজন। ঘটনায় আরও ৪ জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতলে চিকিৎসাধীন। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হেঁড়িয়া থানার ইরিঞ্চি ব্রিজের কাছে ১১৬বি জাতীয় সড়কে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে দিল্লি থেকে ট্রেনে চেপে তমলুক স্টেশনে নেমে ওই যাত্রীরা একটি অটোয় কাঁথির দেশপ্রাণ ২ ব্লকে বাড়ির দিকে আসছিলেন।
পথে ১১৬বি জাতীয় সড়কে হেঁড়িয়া থানার ইরিঞ্চি ব্রিজের কাছে অটোটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মৃতরা সকলেই কাঁথি দু’নম্বর ব্লকের চালতি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে মৃতরা হল কাঁথির রঘুরামপুরে অটো চালক শেখ জাহাঙ্গীর আলি(৩২)। বাকি চার আত্মীয় পরিজন কাঁথির চালতি গ্রামের শেখ মতি(৪৬), তাঁর মেয়ে মুনমুন খাতুন(১৯), ফাসানা বিবি (২৯) ও হুমেরা বিবি(৩৫)। বুধবার রাতেই পাঁচ জনের মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দিল্লিতে কর্মসূত্রে থাকত শেখ মতি সহ পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার জন্য দিল্লি থেকে রওনা দেয় তাঁরা। এদিকে কাঁথি থেকে অটো ভাড়া করে হুমেরা বিবি সহ পরিবারের দু’জন সদস্য এদের আনতে তমলুকে রওনা দেয়।
সেখান থেকে অটো করে ৮ জন কাঁথি উদ্দেশ্য রওনা দেন। রাত্রি ২ নাগাদ দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে হেঁড়িয়া ইরিঞ্চি বীজের কাছে একটি পণ্য বোঝাই লরি অটোর পেছনে ধাক্কা মারে। অটো পাল্টি খেয়ে দুমড়ে মুছড়ে যায়। অটো চালক সহ মোট ৯জন’কে উদ্ধার করে হেঁড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। দুর্ঘটনা পর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
খবর পেয়েই মারিশদা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত অটোটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর অটোর ভেতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। সূত্রের খবর এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অটোর চালকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে গুরুতর জখম অবস্থায় চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। মারিশদা থানা সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যেই ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে।
Comments :0