ওড়িশার বিখ্যাত গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে ২০ বছর বয়সী কলেজ ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাটি ওড়িশার গঞ্জাম জেলার গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে। জানা গিয়েছে, বেসরকারি কলেজের ওই ছাত্রী তাঁর সহপাঠী প্রেমিকের সঙ্গে রাজা উৎসব উপলক্ষে রবিবার রাতে বন্ধুর সঙ্গে গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলেন। বন্ধুকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে তাঁর সামনেই ওই তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় দশ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোপালপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন যে, যখন তাঁরা সমুদ্র সৈকতের একটি নির্জন স্থানে বসে ছিলেন, তখন ১০ জনের একটি দল তাদের কাছে আসে, তার প্রেমিককে ধরে নিয়ে যায় এবং তাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করা হয়েছিল পরে, ১০ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা অন্য রাজ্যে পালানোর চেষ্টা করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। 
ওড়িশার গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে ২০ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এই ঘটনাকে "মর্মান্তিক" বলে অভিহিত করেছে এবং রাজ্য সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। মঙ্গলবার জারি করা এক বিবৃতিতে, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন বিজয়া কিশোর রাহাতকর ওড়িশার পুলিশকে চিঠি লিখে সকল অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি মামলার দ্রুত তদন্ত এবং নির্যাতিতাকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন নির্যাতিতাকে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং মানসিক সহায়তা প্রদান করতে হবে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা ধারার ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।