নতুনপাতা : বইকথা
ব্রেজিলের কালো বাঘ ও অন্যান্য: বিভীষিকাময় কাহিনির অপূর্ব বিন্যাস
সৌরভ দত্ত
সত্যজিৎ রায়ের একটি অসামান্য অনুবাদ গ্রন্থ–“ব্রেজিলের কালো বাঘ ও অন্যান্য ”।আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত বইটিতে মোট পাঁচটি গল্প রয়েছে। প্রথম গল্পটি শার্লক হোমস চরিত্রের শ্রষ্টা আর্থার কনান ডয়েল রচিত–ব্রেজিলের কালো বাঘ।গল্পটার শুরু অদ্ভুতভাবে–“মেজাজটা বনেদী, প্রত্যাশা অসীম, অভিজাত বংশের রক্ত বইছে ধমনীতে,অথচ পকেটে পয়সা নেই–এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে?” এরপর প্রসঙ্গক্রমে দক্ষিণ আমেরিকার ইন্ডিয়ানদের এই বাঘের কথা বললে চমকে ওঠার প্রসঙ্গ এসেছে। রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন লেখক–“বিশাল জানোয়ারটা উঠে দাঁড়িয়ে হাই তুলে নিজের মাথাটা এভারায়ডের গায়ে ঘষতে লাগল”। বাঘের উত্তেজনা গোটা গল্পের প্রাণ। পরের গল্প–“ব্লু-জন গহ্বরের বিভীষিকা ”।১৯০৮ সালে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি প্রাপ্ত যক্ষ্মা রোগে ডাঃ হার্ডকালসের মৃত্যুর পর একটি কাহিনি পাওয়া যায় যেটি ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়।পেন্সিলে লেখা চিঠিতে রয়েছে-“প্রিয় সীটন,শুনে আঘাত পাবে কিনা জানিনা –আমার কাহিনী তুমি অবিশ্বাস করার ফলে আমি সে বিষয়ে আজ পর্যন্ত আর কারুর কাছে কোন উল্লেখ করিনি।”গল্পে রয়েছে আর্টিমেজ বর্ণিত এক গহ্বরের অন্ধকারের কথা। রোমান সুড়ঙ্গটির অসাধারণ বর্ণনা রয়েছে গল্পে।পাঁচটি গল্পের শেষ গল্প রে ব্র্যাডবেরি রচিত–‘মঙ্গলই স্বর্গ’। মহাকাশ থেকে নেমে আসা রকেটের কথা রয়েছে এখানে।রকেট মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা ও তার গতি কমে আসার কথা উল্লিখিত হয়েছে। যেখানে মঙ্গলকে মনে হয়েছে একপ্রকার স্বর্গ।এ বইটি মূলত বিভীষিকাময় কিছু অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী।
গ্রন্থনাম–ব্রেজিলের কালো বাঘ ও অন্যান্য
অনুবাদ–সত্যজিৎ রায়
প্রকাশক–আনন্দ পাবলিশার্স
Comments :0