আজ ৩১ মে। আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগে ২০১৫ তে প্রথমবার আইলিগ জিতেছিল মোহনবাগান আজকের দিনেই। খেলাটি হয়েছিল বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে। সেবছর সদ্য জন্মানো ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল ভারতীয় ফুটবলে। টেবিলের শীর্ষে অবশ্য ছিল সবুজ মেরুনই। ১৯ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট ছিল মোহনবাগানের। অন্যদিকে ১৯ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট ছিল বেঙ্গালুরুর। অর্থাৎ মোহনবাগানকে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন হত বেঙ্গালুরু এফসি। মোহনবাগানের দরকার ছিল ড্র। ম্যাচের ৪১ মিনিটে জন জনসনের গোলে এগিয়েই ছিল বেঙ্গালুরু। যখন সবাই প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছে মোহনবাগানের গোলের জন্য। ঠিক তখনই পালতোলা নৌকার হাল ধরলেন বেল্লো রাজাক। ৮৭ মিনিটে সনির কর্নার থেকে হেডে করা তার গোলটির মূল্য অর্থ দিয়ে বিচারিত হবেনা। এই ব্যাস তারপর আর বাকি সময়টা দুর্দান্তভাবে রক্ষণ সামলেই ১৪ বছর পর জাতীয় লিগের শিরোপা জিতেছিল সঞ্জয় সেনের মোহনবাগান। তবে এই জয়ের রাস্তা মোটেই সহজ ছিলনা। ২০১৪ তে মহামেডানকে আইএফএ শিল্ড জিতিয়ে মোহনবাগানের দায়িত্ব নেন সঞ্জয়। এর আগে ২০০৯-২০১৪ এই পাঁচবছর গঙ্গাপারের ক্লাবে ঢোকেনি কোন বড় ট্রফি। তাই কাজটা বেশ কঠিন ছিল সঞ্জয়ের জন্য। আইএফএ শিল্ডে বাংলাদেশের শেখ জামাল ধানমন্ডি দলের হাইতিয়ান উইঙ্গার সোনি নর্দে সারা ফেলে দিয়েছিলেন ওই প্রতিযোগীতায়। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে হারিয়েই তারা উঠেছিল ফাইনালে। টাই ব্রেকারে জয় ছিনিয়ে এনেছিল মহামেডান। সেই সোনিকে সই করিয়েছিল মোহনবাগান । তার আগে থাকতেই দলে ছিলেন কাতসুমি ইউসা। এই দুইজনের যুগলবন্দিতেই এসেছিল শিরোপা। এছাড়াও নিঃশব্দে মাঝমাঠে নিজের কাজ করে যেতেন পিয়ের বোয়া। ভোলা যাবেনা প্রীতম, সৌভিক , প্রণয় , দেবজিতের মত বাঙালী ফুটবলারদের কৃতিত্বও। সবুজ মেরুন দলে স্ট্রাইকারে নিজের ভূমিকা দারুণভাবে পালন করছিলেন বলবন্ত সিং। রক্ষণের কান্ডারী ছিলেন বেল্লো রজ্জাক। ইউনাইটেড স্পোর্টস থেকে সঞ্জয়ই তাকে নিয়ে আসেন মোহনবাগানে। এরপর ২০২০ তেও কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে আইলিগ এসেছিল। তারপর সঞ্জীব গোয়েঙ্কর আরপিএসজি এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর দুইবার আইএসএল শিল্ড ও কাপ জিতলেও ২০১৫ সালের জয়ের স্বাদ ছিল সকলের থেকে আলাদা। কারণ দীর্ঘ ১৪ বছরের জ্বালা জুড়িয়েছিল সমস্ত, ম্যারিনার্স ' দের। এই জয়ের ফলে ঐসময় জাতীয় ও আই লিগ মিলিয়ে মোট চতুর্থবার শিরোপা জিতেছিল মোহনবাগান।
On This Day 2015
মোহনবাগান প্রথমবার আই লিগ জিতেছিল আজকের দিনে

×
Comments :0