ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ এর প্রত্যুত্তর দেবে ইরান। ইরানের একাধিক জায়গায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল, তার সাথে সেই দেশের পরমানু ঘাঁটি লক্ষ করে হামলা চালিয়েছেন নাতানিয়াহুর সেনা। ইরানের শীর্ষনেতা খামেনি জানিয়েছেন ইজরায়েলের পক্ষ থেকে ইরান ভুখন্ডে যেই হামলা হয়েছে তার কড়া জবাব দেবে তার। ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্য সূত্রে খবর এই হামলার ফলে ইরানের দুজন শীর্ষ সেনা আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ইরানের পক্ষ থেকেও তাদের ওপর ড্রোন হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রায় ১০০টি ড্রোন দেখা গিয়েছে ইজরায়েলের আকাশে। সেই ড্রোন গুলোকে নামানোর চেষ্টা করছে ইজরায়েল সেনা। 
ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হয়েছে সে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল মহম্মদ বাগেরির, ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডের প্রধান কমান্ডার জেনারেল হোসেন সালামি এবং ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল ঘোলামালি রশিদের।
বিবৃতিতে ইরানের বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের চার্টের ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইরানের সম্পূর্ন অধিকার আছে এই হামলার জবাব দেওয়ার।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ইরানের সেনা বাহিনীর দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে কখনও পিচ পা হবে না।’’ সূত্রের খবর ইতিমধ্যে ইজরায়েলের ওপর আক্রমণ করার জন্য প্রস্ততি শুরু করে দিয়েছে ইরানের সেনা। প্যালেস্তাইন জুড়ে ইজরায়েল যে ভাবে ধ্বংস চালাচ্ছে তা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে ইরান। প্যালেস্তাইনের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী এই দেশকে। সেই সময় থেকেই দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় সংঘাত। এখন তা সরাসরি যুদ্ধের চেহারা নিয়েছে। ইতিমধ্যে এই পরিস্থিতিতে ইরানের আকাশ সীমা দিয়ে বিমান যাওয়া বন্ধ করেছে অনেক দেশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়তে পারে তেলের। যার জেরে ভারতের মতো পিছিয়ে থাকা বিভিন্ন দেশের ফের মাথা ছাড়া দেবে মূল্যবৃদ্ধি।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাদের ওপর এই হামলার পিছনে হাত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ইরানের বিদেশমন্ত্রী যেই বিবৃতি দিয়েছেন তাতে তিনি সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন মদত ছাড়া ইজরায়েলের পক্ষ থেকে এই হামলা করা কখনও সম্ভব নয়। 
একটি বিবৃতি দিয়ে আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো বলেন, “আজ ইজ়রায়েল ইরানের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক পদক্ষেপ করেছে। আমরা এই হানার সঙ্গে যুক্ত নই। আমাদের এখন লক্ষ্য হল ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীকে সুরক্ষিত রাখা।”
ইরানের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরমানু চুক্তি ভেস্তে গিয়েছে। সূত্রে খবর বিগত কয়েক বছরে পরমানু শক্তির দিক থেকে বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ইরান, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের বন্ধু ইজরায়েলের কাছে চিন্তার।