আহমেদাবাদের দুর্ঘটনা কবলিত বিমানে ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি, যদিও এই খবরের এখনও কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। এদিন বেলা ১:৩৮ মিনিট নাগাদ আহমেদাবাদ বিমান বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে বিমানটি। কিছুটা যাওয়ার পর গুজরাটের মেঘানী নগরে ভেঙে পড়ে বিমানটি। মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বিমানে মোট যাত্রী ছিলেন ২৪২ জন। যার মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ১৬৯ জন, ৫৩ জন ছিলেন ব্রিটেনের নাগরিক, একজন কানাডার নাগরিক এবং ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক। 
উল্লেখ্য গতকাল বিমানটি দিল্লি থেকে প্যারিস তারপর ফের প্যারিস থেকে দিল্লিতে ফেরে তারপর আহমেদাবাদে। অনেকে মনে করছেন দুটি ইঞ্জিন একসাথে খারাপ হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। 
এই ঘটনার পর সর্দা বল্লবভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বিমান পরিসেবা বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনা সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধার কাজে নেমেছেন। লোকালয়ে ঘটনাটি ঘটায় স্থানীয়দেরও উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু আহমেদাবাদ যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। 
৬২৫ ফুট ওঠার পর কি ভাবে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে এই ঘটনার জেরে যাত্রী সহ বিমানে থাকা কোন ব্যাক্তির বাঁচার সম্ভাবনা কম।
দুর্ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার এক্সহ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করেছেন। ব্রিটেনের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর।