IIT Kharagpur Student Death

ফের ছাত্রের মৃত্যু খড়গপুর আইআইটিতে

রাজ্য জেলা

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের খড়গপুর আইআইটিতে পড়ুয়ার মৃত্যু। গত সাত মাসে পাঁচ পড়ুয়ার মৃত্যু হল আইআইটি খড়গপুর ক্যম্পাসে। গত শুক্রবার ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল খড়গপুর আইআইটিতে। প্রতিটি ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে কর্তৃপক্ষের দায় এড়িয়েছে। 
ফের সোমবার রাতে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত ছাত্রের নাম চন্দ্রদীপ পাওয়ার। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন চন্দ্রদীপ।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন ‘‘জ্বর-সর্দি হয়েছিল ওই পড়ুয়ার। ওষুধ খাওয়ার সময় শ্বাসনালীতে ট্যাবলেট আটকে যায়। তাঁকে আইআইটি খড়গপুরের বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীন ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের তোরজোর শুরু হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে। মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।’’
মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা চন্দ্রদীপ পাওয়ার খড়গপুর আইআইটি-র ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সে জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধও চলছিল। সোমবার রাতে খাওয়ার পরে ওষুধ খেতে গিয়ে সেই ওষুধ তার গলায় আটকে যায় বলে দাবি আইআইটি কর্তৃপক্ষের। গত ২১ এপ্রিল অনিকেত ওয়ালকার নামে এক পড়ুয়ার মৃত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি ওশান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ন্যাভাল আর্কিটেকচার বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আইআইটি খড়গপুরের জগদীশচন্দ্র বসু হলে থাকতেন তিনি। ওই হলের সি-২১৪ রুম থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছিলো। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই আরও এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। গত ১২ জানুয়ারি উদ্ধার হয় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শাওন মালিকের দেহ। তাছাড়া গত ডিসেম্বর মাসে দেবিকা পিল্লাই নামে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২০২২সালের ১৪ অক্টোবর অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়জান আহমেদের দেহ উদ্ধার হয় পরিত্যক্ত এক বিল্ডিংয়ের ঘর থেকে। সেই মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলা হয়। এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিবার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হলে পুনরায় ময়নাতদন্তে খুন করা হয়েছে বলে উঠে আসে। গত ১৮ জুলাই মেকানিক্যাল বিভাগের এক পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে আরেক মৃত্যুতে উঠেছে প্রশ্ন।

Comments :0

Login to leave a comment