হাঁটু সমান কাদা ঠেলেই স্কুল আসতে হয় পড়ুয়াদের। বারে বারে জানিয়েও প্রতিকার হয়নি। বেহাল রাস্তা মেরামতের দাবিতে সড়ক রাস্তা অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভে সামিল হলো স্কুল পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা ধরে অবরোধ বিক্ষোভ চলে। ঘটনা ঘাটাল ব্লকের বরদাচৌকান থেকে হুগলি জেলার বর্ডার হাজিপুর গামী ব্যাস্ততম রাজ্য সড়কের সুলতানপুর মৌজায়।
সুলতানপুর হাইস্কুল ও স্থানীয় ২টি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের পথ অবরোধ ও বিক্ষোভে দীর্ঘ পথে তীব্র যানজোট হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে আসে বিজেপি পরিচালিত সুলতানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান কৌশিক জানাও। তাঁকে এবং পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। এই কর্মসূচিতে সামিল হন এলাকার অভিভাবকরাও। পড়ুয়ারা দাবি তোলে বিডিও এবং এসডিও দুই জনকেই ঘটনাস্থলে আসতে হবে। তাদের অভিযোগ গত তিন বছর ধরে বেহাল রাস্তার মেরামতের দাবি জানিয়েও প্রতিকার হয়নি।
ঘটনাস্থলে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট এলে তার কাছে কৈফিয়ত চায় গত চার বছরে আপনি কি কাজ করেছেন তার হিসাব দিন। স্থানীয় মানুষ সহ আটক পড়া নিত্যযাত্রীরাও ছাত্রদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন। নিত্যযাত্রীরা বলেন, বিধায়ক প্রতি বছর তাঁর এলাকার উন্নয়ন বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা পান। আর বিজেপি পরিচালিত তাদেরই পঞ্চায়েত এলাকায় বেহাল গ্রামীণ রাস্তা। এমন প্রশ্নের মুখে ও বিক্ষোভের মুখে পড়ে বিজেপির দলের প্রধান ও বিধায়ক। সকাল ১০ টা থেকে তিনটি স্কুলের পড়ুয়ারা স্কুলে না গিয়ে একসাথে এই অবরোধ ও বিক্ষোভে সামিল হয়। স্কুলের শিক্ষরা ছাউনি নিয়ে এসে পড়ুয়াদের মাথায় তুলে ধরে নজরদারী করেন।
স্থানীয় মানুষ বলেন, সুলতানপুর এলাকায় একাধিক রাস্তা কাদা মাটির, রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। রাস্তা মেরামতের দাবিতে একাধিকবার গ্রামপঞ্চায়েত দপ্তরে ও বিডিও দপ্তরে জানালেও কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। এদিন রাজ্য সড়ক অবরোধ চলে সকাল দশটা থেকে দেড় টা পর্যন্ত। ঘটনাস্থলে ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস এবং বিডিও আসেন। ছাত্রদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। স্কুল পড়ুয়াদের সামনেই অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বন্যার জল নামতে শুরু করেছে। এরপর এই বেহাল রাস্তার কাজ শুরু করবেন প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় অবরোধ বিক্ষোভ তুলে নেন স্কুল পড়ুয়ারা।
Comments :0