CPI-M Bengal

মন্দির রাজনীতি রুখতে স্মার্ট মিটার-একশো দিন কাজের লড়াই চালাবে সিপিআই(এম)

রাজ্য

বুধবার একশো দিন কাজ চালুর দাবিতে সবংয়ে বিডিও দপ্তরে অভিযান সিপিআই(এম)।

রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি চলছে। তৃণমূল এবং বিজেপি’র এই রাজনীতির ফল দেখা গিয়েছে মহেশতলা, মুর্শিদাবাদে। বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধের বিষয়গুলি উসকে দিতে সক্রিয়। আমরা বামপন্থীরা জীবন-জীবিকার অভিন্ন বিষয়, যেমন একশো দিনের কাজ, পরিবহণ, কাজ-শিক্ষা-স্বাস্থ্য, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন জারি রাখবে।
দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 
এদিনই সবংয়ের বিডিও দপ্তরে একশো দিনের কাজের দাবিতে বিক্ষোভে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। সেলিমের পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি জানান আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ শুরু করার দাবিতে রাজ্যের সর্বত্র এই বিক্ষোভ করবে সিপিআই(এম)। 
তিনি বলেন, ওরা রামমন্দির-জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিবাদ করছে। আমরা একশো দিনের কাজ এবং মজুরির দাবিতে। স্মার্ট মিটার স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। আমরা এই প্রকল্প বাতিলের দাবি করছি। 
রথযাত্রা উৎসব নিয়ে তৃণমূল সরকারের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সেলিমকে। উল্লেখ্য, দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরে রথের দিন সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে রথযাত্রার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। ঠিক যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিজেকে তুলে ধরেন।
সেলিম বলেন, রাজনীতি মানে স্বাস্থ্যের দাবি, শিক্ষার দাবি। জয়েন্ট রেজাল্ট বের হয়নি। কলেজে ভর্তি শুরু হয়নি। সরকারের খাদ্য দপ্তরের টাকা সরিয়ে প্রসাদ বলে বিক্রি করা হচ্ছে। স্ক্রিপ্ট তো এক, আরএসএস’র তৈরি। সেই স্ক্রিপ্টে দেব-দেবী বদলে যায় কেবল। কিন্তু বাকি উপকরণ এক। সেলিম বলেন, রাজ্যের বহু জায়গা এখন ভাসছে। কেন্দ্র বা রাজ্যের সরকার একশো দিনের কাজ দিতে পারে না, এদিকে প্রসাদ বিলি করছে। সেলিম বলেন, বামপন্থা মানে হচ্ছে রুটি-রুজির প্রশ্নে লড়াই। ধর্ম প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অধিকার। তৃণমূল এবং বিজেপি রাষ্ট্র এবং সরকারকে ধর্মের সঙ্গে জড়িয়ে দিচ্ছে। 
সেলিমের মন্তব্য, এবার তো মহরমে সরবৎ করবে। এটা সরকারের কাজ?
তাঁর ক্ষোভ, দক্ষিণপন্থী রাজনীতি এভাবে চলে। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক করে। তিনি বলেন, অসুস্থকে তো ওষুধ দিচ্ছে না। নির্বাচনী বন্ডে ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলির থেকে টাকা নিয়েছে, এখন ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে। 
আরেক প্রশ্নে সেলিম বলেন, রাজ্যে মাংস বিক্রেতাকে মারধর করা হচ্ছে। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা করা হচ্ছে অন্য রাজ্যে। রাজ্য বা কেন্দ্র সরকার কিছু করছে না। অথচ সংবিধানের কেন্দ্র তালিকায় এই পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার দায়িত্ব দেশের সরকারের। মমতা কখনও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন যে এটি আপনাদের সাংবাধানিক দায়িত্ব কিন্তু পালন করছেন না? মুখ্যসচিব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন? 
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে ত্রুটিমুক্তি তালিকা করতে হলে মৃত এবং ‘ডবল এন্ট্রি’ বাদ দিতে হবে। আমরা কমিশনে জানালে ডেথ সার্টিফিকেট চাইছে। কমিশনকে সরকারের থেকে মৃতের তথ্য জোগার করতে হবে। সরকারের কাছেই তো সেই তথ্য রয়েছে। 
রেলে সাধারণ যাত্রীদের নাজেহাল অবস্থা। অপরিচ্ছন্ন, ট্রেন চলছে না। দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্র। রেলের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। সর্বত্র প্রতিবাদ হবে।

Comments :0

Login to leave a comment