Gefneral Strike

ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার জেলায় জেলায়

রাজ্য জেলা

শ্রমুকোড বাতিল করা, অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্যে রোধ করা, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প গুলির বিলগ্নীকরণ বন্ধ করা, প্রকল্প ও ঠিকা কর্মীদের স্থায়ীকরণ করার দাবি সহ ১৭ দফা দাবিতে আগামী ৯ জুলাই সারা দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সেই ধর্মঘটের সমর্থনে, দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট সফল করতে বৃহস্পতিবার দিনভর প্রচার চলে। এদিন কাঁচড়াপাড়ায় সভায় সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য ও খেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দার বলেন,  শ্রমকোড বাতিলের দাবিতে সমস্ত শ্রমজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শ্রমিক বিরোধী এই কালা আইন চালু হলে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে না। আগামী ৯ জুলাই দেশব্যাপী ধর্মঘটকে সফল করতে হবে। এদিন পার্টির কাঁচড়াপাড়া এরিয়া কমিটির উদ্যোগে  কুলিয়া রোডে সভা হয়। অন্যদিকে, সাধারণ ধর্মঘট সফল করতে বসিরহাট এলআইসি অফিসের সামনে সভা হয়। এলআইসি এজেন্ট অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে সভায় শ্রমকোড বাতিল, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নীকরণের বিরুদ্ধে ও এজেন্টদের উপর আক্রমণ প্রতিহত করতে এজেন্ট কর্মচারী গ্রাহক ও সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান সংগঠনের পক্ষে বিশ্বজিৎ বসু। ধর্মঘটের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন কর্মচারী আন্দোলনের নেতা পার্থসারথি দত্ত। 

এদিন বিকেলে ধর্মঘটের সমর্থনে এগরা ১ ব্লকের জেড়থানে মিছিল হয়। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ, কৃষক সভা, খেতমজুর, বস্তি উন্নয়ন ও ১২ই জুলাই কমিটির ডাকা এই মিছিলে শ্রমজীবী মানুষেরা আওয়াজ তোলেন শ্রমকোড বাতিল করতে হবে। রেগায় কাজ ও ৬০০ টাকা মজুরি দিতে হবে।  মিছিল থেকেই কালীগঞ্জে তামান্না খাতুনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। মিছিল শেষে এক সভায় বক্তব্য রাখেন বাদল গিরি। সন্ধ্যায় নদীয়া জেলার কল্যাণী, গয়েশপুর, মদনপুর ও হরিণঘাটা এলাকার বিভিন্ন বামপন্থী গণ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল হয়। এই মিছিল কল্যাণী মেন স্টেশন সংলগ্ন রাস্তা থেকে শুরু করে এক মিছিল কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালের সামনে দিয়ে শুরু করে কল্যাণী আইটিআই মোড় পর্যন্ত মিছিলটি পরিক্রমা করে। মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখেন সোমেশ কংসবণিক, তাপস পারিয়াল,স্বপন সরকার,অমিত অধিকারী।

Comments :0

Login to leave a comment