বোলপুর থানার থেকে ফের একবার এদিন বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে আগামীকাল সকাল ১১:৩০টায় এসডিপিও অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য। সূত্রের খবর অনুব্রতর আইনজীবীরা পুলিশকে জানিয়েছে শারিরীক অসুস্থতার কারণে হাজিরা দিতে পারবেন না অনুব্রত মণ্ডল।
পুলিশের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চারটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয় যেখানে অনুব্রত মণ্ডলকে বোলপুর থানার আইসিকে সরাসরি অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করতে শোনা যায় (অডিওর সত্যতা বিচার করেনি গণশক্তি ডিজিটাল)। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা শুরু হয়। তৃণমূলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননা কর মন্তব্য করেছেন, তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছে এবং এই মন্তব্যকে সমর্থন করছে না।’’
সমালোচনার মুখে পড়ে আইসিকে কুকথা বলা ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। দলকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘সাম্প্রতিক ঘটনায় আমি দুঃখিত। দিদির পুলিশের কাছে এক বার কেন, একশো বার ক্ষমা চাইতে পারি। আসলে আমি নানা রকম ওষুধ খাই। দিদির পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে মাথা গরম হয়ে যায়। সতিই আমি দুঃখতি।’’
উল্লেখ্য এর আগে একাধিকবার পুলিশকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে অনুব্রতকে। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় পুলিশকে বোম মারার নিদান দিয়ে ছিলেন তিনি। সেই সময় অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, ‘কেষ্ট ভালো সংগঠক। ওর পিছনে অনেকে লাগছে। ওর মাথায় অক্সিজেন একটু কম যায়। যে ভালো সংগঠক তার পাশে আমি আছি।’
বুগটুই ঘটনার সময়ও মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে অনুব্রতকে পুলিশের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিতে দেখা যায়। নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন মমতা ব্যানার্জি।
Comments :0