ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকারের লড়াইয়ের নাম সুদীপ্ত গুপ্ত। শহীদ হয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর পথেই হাঁটবে এসএফআই।
শুক্রবার কলেজ স্ট্রিটে রক্তদান শিবিরে এই ঘোষণা করেছে এসএফআই। এই দিনটি এসএফআই নেতা শহীদ সুদীপ্ত গুপ্তের জন্মদিন। প্রতি বছরই এই দিনে এই রক্তদান শিবির হয়। 
সংগঠনের কলকাতা জেলা কমিটি আয়োজিত এই শিবিরে অংশ নেন রাজ্যের চিকিৎসক আন্দোলনের নেতা ডাঃ উৎপল ব্যানার্জি ও চিকিৎসক সঞ্জীব মিত্র, এসএফআই’র রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে, কলকাতা জেলা সম্পাদক দীধিতি রায় ও জেলা সভাপতি বর্ণনা মুখার্জি সহ নেতৃবৃন্দ। মোট ৮৫ জন রক্ত দেন এদিন। এসএফআই’র কর্মীদের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শুধু ছাত্রছাত্রীরাই নয় অনেক অভিবাবক, সাধারণ মানুষ ও বইপাড়ার বিক্রেতারা রক্তদান করেন।  
কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ২০১৩ সালে ২ এপ্রিল এসএফআইয়ের ডাকে আইন অমান্য কর্মসূচিতেই পুলিশের লাঠির আঘাতে সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যু হয়। তিলোত্তমার ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে যে জুনিয়ার চিকিৎসকদের আন্দোলন চলছে তাঁর অন্যতম একটি দাবিও ছাত্র সংসদ নির্বাচন। রাজ্যে তৃণমূল সরকার সব ক্ষেত্রের মতো ক্যাম্পাসেও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে তৎপর বরাবর। তার বিরুদ্ধে লড়াইয়েই শহীদ সুদীপ্ত গুপ্ত, বলেছে এসএফআই। 
এসএফআই কলকাতা জেলা সম্পাদক দীধিতি রায় বলেন, "সুদীপ্ত গুপ্ত শহীদ হয়েছিলেন ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল। ওইদিন কলেজ স্ট্রিট থেকে যে মিছিল শুরু হয়েছিলো তার মূল দাবি ছিল আইন ভেঙেই রুখবো আইন। রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন গত সাত বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। সুদীপ্তদার শহীদ হওয়ার প্রায় ১২ বছর পর তিলোত্তমার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যে গণআন্দোলন হচ্ছে সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের দশটি দাবির প্রধান একটি দাবি কলেজগুলোতে নির্বাচিত ছাত্র সংসদের। আমরা বুঝতে পারছি কলেজে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকলে থ্রেট সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবাজ দুষ্কৃতীদের বাড়াবাড়ি শুরু হয়। তাই আজও সুদীপ্তদার প্রেরণায় লড়াই চলবে।’’ 
বক্তব্য রাখেন এসএফআই কলকাতা জেলা সভাপতি বর্ণনা মুখার্জিও।
SFI
প্রেরণা সুদীপ্ত, চলবে লড়াই, শপথ এসএফআই’র
 শুক্রবার কলেজ স্ট্রিটে শহীদ সুদীপ্ত গুপ্তের স্মরণে রক্তদান শিবির ।
                                    শুক্রবার কলেজ স্ট্রিটে শহীদ সুদীপ্ত গুপ্তের স্মরণে রক্তদান শিবির ।
                                
                                    ×
                                    ![]() 
                                
                                                         
                                         
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    
Comments :0