Weather

উত্তরে চলবে বৃষ্টিপাত, দক্ষিণে ছিটেফোঁটা

রাজ্য জেলা

তিস্তায় জারি হলুদ সতর্কতা। ছবি দীপশুভ্র সান্যাল।

নিম্নচাপের জেরে উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে বর্ষা। অতিবৃষ্টির আশঙ্কায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা এবং সিকিমের মঙ্গনে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণের জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত চরম অস্বস্তি রয়েছে। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলছে উত্তরের জেলাগুলিতে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শনিবার রাতে জারি করা জলপাইগুড়ির দমহনী থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীতে লাল সংকেত রবিবার তুলে হলুদ সতর্কতা বহাল রেখেছে সেচ দপ্তর। জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে। ওই জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। দুই দিনাজপুর ও মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। 
উত্তর সিকিমে ভারী বৃষ্টিপাত ও তিস্তা নদীর উত্তাল স্রোতের কারণে মঙ্গনের সাংকালাং সেতুর একটি অংশ ভেঙে যাওয়ায় ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই সেতুটি ঢোংজু, চুংথাং, লাচুং এবং লাচেন সহ উত্তর সিকিমের বিভিন্ন অঞ্চলের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পথ ছিল। সেতুর ধ্বংসের ফলে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ব্যাহত হয়ে পড়েছে। যদিও এদিন সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জনিয়েছেন, শনিবার মঙ্গনে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার থেকে কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমান। 
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এগোচ্ছে অনুকূল পরিস্থিতিতে। দশদিন আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে উত্তরবঙ্গে। বাংলা, বিহার, ওড়িশা, সিকিম রাজ্যে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষা প্রবেশ না করলেও সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সোমবার প্রর্যন্ত। দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার এবং সোমবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় বাড়বে গরম এবং অস্বস্তি। আবহাওয়া অনেকটা শুষ্ক হবে মঙ্গলবার থেকে। ওইদিন থেকে কলকাতা ও আশেপাশের অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বিভিন্ন জেলাতে। গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় জনিত অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে।
জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত, তিস্তা নদীতে হলুদ সতর্কতা জারি করায় রবিবার সকালে থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করলো উত্তরবঙ্গ বন্য নিয়ন্ত্রণ কমিশনের বিশেষ কন্ট্রোল রুম। জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তরের অধীনে জলপাইগুড়ি সেচ ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করেছে আলিপুরদুয়ার, কোচ বিহার,শিলিগুড়ি,জলপাইগুড়ি সহ মোট ১০টি স্থানের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা সহ তিস্তা, কালজানী, জলঢাকা, মতো পাহাড়ী নদীর জলস্তর ২৪ ঘণ্টা পরিমাপের কাজ।

Comments :0

Login to leave a comment