ইরানের পালটা আক্রমণে নাজেহাল হয়েছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।  পরাক্রম দেখাতে গাজায় আগ্রাসনের মাত্রা আরও বাড়ালো ইজরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্র উল্লেখ করে পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে একদিনে আরও ৫১ জন নিহত হয়েছেন প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে। 
প্যালেস্তাইনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেও চলছে উচ্ছেদ। ইজরায়লের বাহিনী শত শত প্যালেস্তিনীয় পরিবারকে ঘরছাড়া করছে। 
দেশের ভেতর যথেষ্ট বিপাকে রয়েছে নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে যে নেতানিয়াহুর আইনজীবী সেদেশের আদালতে আবেদন করেছেন যাতে প্রধানমন্ত্রীর অপরাধের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া ১৫ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়। এই আইনজীবী আমিত হাদাদ আদালতকে বলেছেন নেতানিয়াহু এখন ব্যস্ত দেশের সুরক্ষা এবং জাতীয় স্বার্থে কূটনীতির কাজে। গাজার পরিস্থিতি এবং যুদ্দবন্দিদের ছাড়িয়ে আনার কাজেও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাঁকে। 
২০১৯-এ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন হয় ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের দায়ে। ২০২০ থেকে শুরু হয় বিচার। গত বছরের জুলাইয়ে নেতানিয়াহুর সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গাজার পরিস্থিতির উল্লেখ করে পেছানোর ব্যবস্থা করেন নেতানিয়াহু।  
নতুন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে গাজায় মে’র শেষ থেকে মার্কিন-ইজরায়েল ত্রাণ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর খাবার নিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৫৪৯ প্যালেস্তিনীয়। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিকে সরিয়ে নতুন একটি সংস্থা খুলে ত্রাণ এবং খাদ্য বিলির দায়িত্ব নেয় ইজরায়েল এবং আমেরিকা। তার আগে দীর্ঘদিন গাজায় ত্রাণ সাম্গ্রী ঢোকা বন্ধ করে রেখেচিল ইজরায়েল। দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে গাজা, অনাহারে গাজার শিশুরা। ত্রাণ কেন্দ্রে খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত জনতার ভিড় আছড়ে পড়তেই বারবার চলেছে গুলি। বেনজির হামলায় ক্ষুধার্ত জনতার সারিতে ড্রোন উড়িয়ে চালানো হয়েছে হামলা। গণহত্যার নতুন নতুন কৌশল বের করছে ইজরায়েল, 
বৃহস্পতিবার গাজায় আটক এক ইজরায়েলী নাগরিকের মা আমেরিকার রাষ্ট্রপতির কাছে আগ্রাসন বন্ধের দাবি তুলেছেন। ইজরায়েলের বহু নাগরিকই বলছেন যে বন্দিদের ছাড়িয়ে আনা আদৌ নেতানিয়াহুর লক্ষ্য নয়। আসল লক্ষ্য হলো গাজা ভূখণ্ড দখল করা। নিজের দেশের নাগরিকদের প্রাণও নেতানিয়াহুর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়নি। ফলে সংঘাত নিরসনে আলোচনার বদলে টানা সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছেন তিনি।