প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মেটেলি ব্লকের ছাওয়াফেলি। পাহাড়ি নেওড়া নদীর ধারে ক্রমশ ডুবে আসছে সূর্যের আলো। জমিতে ধান কাটার পর এখনও গোড়াগুলি রয়ে গিয়েছে। সেই জমিতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে অসংখ্য ময়ূর-ময়ূরী। মাঝেমধ্যেই তাদের ডাক ভেসে যাচ্ছে দূরদূরান্তে। নদীর জলের ধার ঘেঁষা জলা জমিতে তখনও রয়েছে শীতের অতিথি পরিযায়ী পাখির দল। এমনই এক মনভোলানো প্রকৃতির স্পর্শে ঘেরা মালবাজার মহকুমার মেটিলি ব্লকের শান্ত নিরিবিলি গ্রাম ‘ছাওয়াফেলি’তে এখন বাড়ছে ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভীড়।
এখনও তেমনভাবেই প্রচারের আলোয় জায়গা না পেলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে এটি অনন্য। স্থানীয়দের মতে, পরিবেশকে অক্ষুণ্য রেখে ছাওয়াফেলিকে নতুন পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব। একদিকে যেমন রয়েছে লাটাগুড়ির ঘন বনাঞ্চল অন্যদিকে বড়দিঘী চা বাগান সহ বেশ কিছু ছোট চা বাগান। আর মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে পাহাড়ি খরস্রোতা নেওড়া নদী। খরস্রোতা নদীর জলের কলতান যেন এক সুমধুর কন্ঠ প্রকাশ পেয়েছে। আর এই মিলিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই যেন ছাওয়াফেলিকে বিশেষ অনন্যের জায়গা তৈরি করে দিয়েছে।
পরিবেশপ্রেমী স্বরূপ মিত্র জানালেন, ‘‘ছাওয়াফেলিতে বন, চা বাগান ও নদীর দারুন সংমিশ্রণ দেখা যায়। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত এক অপূর্ব মাত্রা যোগ করে। এলাকার সৌন্দর্যকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরা প্রয়োজন।’’
এলাকার তরুণ তথা রিসর্ট কর্মী সাহের আলী জানালেন, ‘‘ছোট থেকে বড় হয়েছি নানান ধরনের পাখি ও বন্যপ্রাণকে সঙ্গী করে। আজ দূরে কোথাও গেলেও মন টানে এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে।’’ বর্তমান সময়কালে ছাওয়া পেলি গ্রামে প্রবেশের জন্য পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছে। যারা এলাকায় বেড়াতে আসেন তারাও এখানকার পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে দেখে মুগ্ধ হন।
মালবাজার মহকুমা শাসক উৎকর্ষ খাণ্ডাল জানিয়েছেন, ‘‘পরিযায়ী পাখি কিংবা অন্য বন্য প্রাণীকে বিরক্ত করা একেবারেই উচিত নয়। পরিবেশবান্ধব পর্যটনের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছি।’’
Comments :0