বুধবার পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের জ্যাকোবাবাদ জেলায় বেলুচিস্তান সীমান্তের কাছে রেল লাইনের ধারে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয় জাফর এক্সপ্রেসের। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যাত্রীরা তাদের পরিবার এবং জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদে ট্রেন থেকে নেমে যাচ্ছেন। তাদর মধ্যে যাদের  বহু শিশু ও পরিবার ছিল। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেল আধিকারিক ও পাকিস্তানের সেনা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা গেছে সিন্ধ প্রদেশের জ্যাকোবাবাদের কাছে রেললাইনের উপর বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন যে বিস্ফোরণের ফলে প্রায় তিন ফুট প্রশস্ত এবং গভীর একটি গর্ত তৈরি হয়েছে, যা রেলপথের প্রায় ছয় ফুট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের প্রাথমিক অনুমান, রেললাইনের ধারেই পুঁতে রাখা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস থেকে বিস্ফোরণ হয়েই লাইনচ্যুত হয় জাফার এক্সপ্রেস। জ্যাকোবাবাদের একটি গরুর হাটের কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে কোয়েটাগামী ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাটি ঘিরে ফেলে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিস্ফোরণের প্রকৃতি কারণ এবং অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত চলছে। রেলওয়ে আধিকারিকার জানিয়েছেন, এলাকাটি সুরক্ষিত করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। বিস্ফোরণের পর ওই  রুটে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, জাফর এক্সপ্রেসে এটিই প্রথম আক্রমণ নয়। গত মার্চ মাসে, বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি কোয়েটার কাছে ট্রেন হাইজ্যাক করে। অপহৃত ট্রেনে পণবন্দিদের মধ্যে ৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। যদিও পাকিস্তান প্রশাসন দাবি করে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সেনা কর্মীদের গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে ট্রেনের থাকা সমস্ত অপহরণকারী সন্ত্রাসবাদীরা।