Manikchak

মানিকচকে ধর্ষিতা বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরী, শিশুকন্যাও

রাজ্য জেলা

বিশেষভাবে সক্ষম এক কিশোরী এবং চার বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার মানিকচকে। দু’টি ঘটনা আলাদা হলেও, দুই ক্ষেত্রেই আত্মীয়দের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ওই শিশু এবং কিশোরী।
নারী নির্যাতনের খবরের শিরোনামে বারবার উঠে আসছে মালদহ। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা প্রায় ঘটে চলেছে। কখনও মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনা। ইংরেজবাজার থেকে কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর, রতুয়া, গাজোল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মানিকচক সর্বত্র নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুনের পরিসংখ্যান দেখলে চমকে উঠতে হয়। একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসছে একাধিকবার। 
শুক্রবার মালদহের মানিকচকে ধর্ষণের দুই ঘটনা ঘিরে ছড়িয়েছে তীব্র ক্ষোভ। মানিকচক থানায় দুই ধর্ষিতার পরিবারই দায়ের করেছে আলাদা আলাদা অভিযোগ। দু’টি ক্ষেত্রেই ধর্ষণে অভিযুক্তরা সম্পর্কে ধর্ষিতাদের জেঠতুতো দাদা। অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানার পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযুক্ত এই ধৃত। 
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে শিশু কন্যাকে ধর্ষণে অভিযুক্তের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। নির্যাতিতার শিশুকন্যার পরিবারের বক্তব্য, জমি বিবাদের জেরেই ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকচক থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে একটি গ্রামের বাসিন্দা ধর্ষিতা ওই নাবালিকা হাঁটতে ও কথা বলতে পারেনা। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। মা গৃহবধূ। নির্যাতিতার বাড়ির কাছেই তার জেঠুর বাড়ি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতিতার মা মাঠের কাজে গিয়েছিলেন। একাই ছিল ওই নাবালিকা। সেই সময় হামাগুড়ি দিয়ে জেঠুর ঘরে চলে যায় সে। সেখানেই তখন মদের আসর জমিয়েছিল নাবালিকার জেঠতুতো দাদা ও তার এক সঙ্গী। জানা গিয়েছে এই জেঠতুতো দাদা নিজেও নাবালক।
অভিযোগ, সেই সময়েই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। নির্যাতিতার মা বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছে তাঁর বড় ভাসুরের ঘর থেকে। নাবালিকার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ দেখে মায়ের সন্দেহ হয়। মেয়েকে উদ্ধার করে মানিকচক হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকার জানান ধর্ষণ করা হয়েছে নাবালিকাকে। নির্যাতিতা কিশোরীর মা সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘‘আমার অসহায় মেয়েকে একা পেয়ে মদ্যপ অবস্থায় ভাসুরের ছেলে ধর্ষণ করেছে। এই বিষয়ে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মানিকচক থানা।’’
মানিকচক থানা এলাকারই আরেকটি গ্রামে ৪ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুকন্যার মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে বিবাদ রয়েছে ভাসুরের পরিবারের সঙ্গে। সেই আক্রোশেই ভাসুরের নাবালক ছেলে ধর্ষণ করেছে আমার চার বছরের শিশুকন্যাকে।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মায়ের বক্তব্য, আক্রান্ত অবস্থায় শিশুকন্যাকে দেখে তিনি চিৎকার করেন। তখন অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। 
দুটি ধর্ষণের বিষয়ে মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের দু’টি ঘটনার মধ্যে একটি ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লশি চলছে।

Comments :0

Login to leave a comment