তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বুধবার সকালে প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের। মৃত লালটু শিকদারের(৭০)। মেমারি ২ ব্লকের পলাশন ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড় পলাশন গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকালে স্থানীয় চায়ের দোকানে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী গোষ্ঠীর সঙ্গে অপরগোষ্ঠীর বচসা বাঁধে। বচসার মধ্যে অপর গোষ্ঠী লোকজন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর গোষ্ঠীর লালটু শিকদারের উপর আক্রমণ করে। মার খাওয়ার পর লালটু শিকদারের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এই দেখে অপর গোষ্ঠীর লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মেমারি থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, মঙ্গলবার সাতগাছিয়াতে একটি বই মেলার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন লালটু সিকদার। এই ঘটনাকে নিয়েই এদিন চায়ের দোকানে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বাঁধে। আর তা থেকেই লালটু শিকদারের মৃত্যু হয়।
দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন মৃতের মেয়ে জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, গতকাল মেমারি বইমেলা নিয়ে সাতগেছিয়াতে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মিটিং ছিল। বাবা সেই মিটিংয়ে থাকায় বাবাকে ধমকি দেওয়া হয় সেকথা বাবা আমাকে রাতেই জানিয়েছেন। সকালে বাবা চায়ের দোকানে গেলে সেখানেও বাবাকে উত্যক্ত করতে থাকে। বাবাকে মারধর করায় বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। জানতে চাই কি হয়েছে তোমার। শুধু তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন। ততক্ষণে স্থানীয়রাও ঘটনাস্থলে জড়ো হন। বাবাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় মেমারি থানাতেও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তদে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। গোটা ব্যাপারটাই তদন্ত করে দেখছে মেমারি থানার পুলিশ।
TMC Group Clash
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মেমারিতে বৃদ্ধের মৃত্যু
×
Comments :0