ইজরায়েল এবং আমেরিকা, দু’দেশের আক্রমণের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরোধকে জয় আখ্যা দিলেন আয়াতোল্লা আল খামেনেই। 
বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়া পোস্টে তিনি বলেছেন যে ইরানকে আক্রমণ করতে এসে জোরালো চড় খেয়েছে আমেরিকা। 
গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালয় ইজরায়েল। ইরানের পালটা হানায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে ইরানে সরাসরি হামলা চালায় আমেরিকা। ইরান পালটা হানা চালায় কাতারে আমেরিকার বিমান ঘঁটিতে। শেষ পর্যন্ত ইরান এবং ইজরায়েলের সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি তুলে নিজের দেশের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।
এদিন খামেনেইয়ের বক্তব্যে স্পষ্ট, শান্তির জন্য মধ্যস্থতার যে দাবি ট্রাম্প করছেন তাকে একেবারে আমল দিচ্ছে না ইরান। 
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সোশাল মিডিয়া পোস্টে ইরানের জনতাকে অভিনন্দ জানিয়েছেন ইজরায়েলের সঙ্গে লড়াইয়ে ‘জয়ের’ জন্য। তাঁর বক্তব্য, ব্যর্থ জায়নবাদী ইজরায়েল ইরানের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে।   
কিছু পরে ফের পোস্ট করেন খামেনেই। তিনি বলেন, আমেরিকার শাসনের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন। আমেরিকা যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল কারণ তারা মনে করেছিল যে ইজরায়েল গুঁড়িয়ে যাবে। আমেরিকা ইজরায়েলের শাসনকে বাঁচাতে যুদ্ধে নেমেছিল। কিন্তু কোনও কিছুই হাসিল করতে পারেনি। 
কাতারে জবাবী হামলার প্রসঙ্গে খামেনেই বলেছেন, ইরানের ইসলামিক সাধারণতন্ত্র কড়া চড় কষিয়েছে আমেরিকার গালে। আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে ইরান হামলা করেছে, গুরুতর ক্ষতিও করতে পেরেছে। 
খামেনেই হুঁশিয়ারির সুরে বলেছে যে ইজরায়েল বা আমেরিকা ফের আক্রমণ করতে এলে গুরুতর ক্ষতির মুখে পড়বে। এই অঞ্চলে (পশ্চিম এশিয়ায়) আমেরিকা প্রধান পরিকাঠামো কেন্দ্রগুলিতে আক্রমণ চালানোর ক্ষমতা রাখে ইরান।