Jalpaiguri Agricultural Workers

একশো দিনের কাজ চালুর দাবিতে লড়াইয়ের আহ্বান জলপাইগুড়ির খেতমজুর সম্মেলনে

জেলা

রাজগঞ্জে সারা ভারত খেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবী ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলার তৃতীয় সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ।

সারা ভারত খেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবী ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলার তৃতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়ি তারঘেরা ময়দানে শুরু হয় এক বিশাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
রবিবার পর্যন্ত চলবে সম্মেলন। সূচনায় সংগঠনের লাল পতাকা উত্তোলন করেন জেলা সভাপতি হরিহর রায় বসুনিয়া। শহীদদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্য সহ নেতৃত্ববৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন কৃষক নেতা ও সিপিআই(এম)-এর রাজ্য কমিটির সদস্য সলিল আচার্য, শ্রমিক নেতা পীযূষ মিশ্র, সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য ইন্দ্রনীল বসু, জেলা নেতৃত্বের রতন রায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে পীযূষ মিশ্র রাজগঞ্জের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় গড়ে ওঠা একটি হ্যাচারির কারণে সৃষ্ট অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কথা তুলে ধরেন। 
মিশ্র বলেন, তৃণমূল নেতাদের মদতে পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই এই হ্যাচারি চালু থাকায় এলাকার মানুষ জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। 
পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয় ও বালি চুরি, জঙ্গল এলাকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, রাজগঞ্জের মানুষ শাসকদলের জ্বালা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।
দুই শাসক দল রাজনৈতিক স্বার্থে এই একশো দিনের প্রকল্প বন্ধ রেখে গরিব মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বামপন্থীদের উদ্যোগে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে গরিব মানুষের পক্ষে রায় আদায় করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও এই লড়াই চলবে।
সমাবেশে রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দার বলেন, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন দেশের বিভিন্ন প্রান্তী রাজ্যে খেতমজুর, আদিবাসী ও গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। 
জেলা সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্য জানান, গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের রুজি-রুটি, রাস্তা সংস্কার, ১০০ দিনের কাজ চালু, বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের মজুরি বৃদ্ধিসহ একাধিক দাবিতে আলোচনা হবে। বৃহত্তর আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে।

Comments :0

Login to leave a comment