প্রধানমন্ত্রীর পথে হেঁটেই রাজ্যসভায় বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেস এবং নেহেরুকে লাগাতার নিশানা করে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর উপলক্ষে সংসদে আলোচনা চলছে। গতকাল লোকসভার পর মঙ্গলবার থেকে রাজ্যসভায় শুরু হয়েছে আলোচনা। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, সামনে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই আলোচনা রাখা হয়েছে।
এদিন শাহ দাবি করেছেন বাংলার ভোটকে মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিম চন্দ্র চ্যাটার্জি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঠিক, কিন্তু বন্দে মাতরম শুধু একটি রাজ্যের বিষয় নয়।’ প্রধানমন্ত্রীর মতো শাহ বলেন, নেহেরু বন্দে মাতরমকে টুকড়ো টুকড়ো করেছে। তিনি অভিযোগ করেন আরএসএসের সেই সব কর্মী যারা বন্দে মাতরম উচ্চারণ করতেন তাদের জরুরী অবস্থার সময় জেলে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য গতকাল লোকসভায় আলোচনার সময় সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে আরএসএসের কী ভূমিকা ছিল তার কোন উত্তর দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নিজে।
বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনায় সরকার পক্ষ বলা ভালো বিজেপি নিজেদের দেশ ভক্ত প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিন শাহ বলেন, ‘আজও, যখন একজন সৈনিক সীমান্তে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেন, তখন তার ঠোঁটে থাকে বন্দে মাতরম শব্দ। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এটি একটি সমবেত স্লোগান হয়ে ওঠে এবং অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে রয়ে গেছে। সংসদের উভয় কক্ষে এই আলোচনার মাধ্যমে, শিশু এবং তরুণরা বন্দে মাতরমের স্থায়ী গুরুত্ব আরও ভালভাবে বুঝতে পারবে।’
রাজ্যসভায় বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনায় মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, নেহেরু, মহাত্মা গান্ধী, মৌলা আজাদ, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, সর্দার প্যাটেল, গোবিন্দ বল্লভ পন্তজি সহ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা একটি প্রস্তাব পাস করে সুপারিশ করেন যে জাতীয় সমাবেশে যেখানেই হবে সেখানেই বন্দে মাতরম গাওয়া হবে। কেবল প্রথম দুটি স্তবক গাওয়া হবে নেহেরু কি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে একা ছিলেন? আপনি অন্য সমস্ত বড় নেতাদের অপমান করছেন যারা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
Comments :0