আগামী সপ্তাহে রাজ্যের উপকুলবর্তী এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস করলো আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণ বঙ্গপোসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাওয়া অফিসের সূত্রে খবর। 
জানানো হয়েছে এরাজ্যের দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামে আগামী সপ্তাহের বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলা গুলোয়। মঙ্গলবার কলকাতা এবং হুগলি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণাবর্তটি বর্তমানে পোর্ট ব্লেয়ার থেকে প্রায় ৪২০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, কাকিনাড়া এবং গোপালপুর সহ প্রধান উপকূলীয় শহরগুলি থেকে প্রায় ৯৯০-১,০৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস দিয়েছে যে নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে, ২৬ অক্টোবরের মধ্যে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ২৭ অক্টোবর সকালের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে।
ভুবনেশ্বরের আবহাওয়া বিভাগের পরিচালক মনোরমা মোহান্তি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে ওড়িশা এই ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপকূলীয় জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 
ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে, গঞ্জাম, গজপতি এবং রায়গড়ায় এবং বাকি ২৭টি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
২৮ অক্টোবর কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর, পুরী, খুরদা এবং কটক সহ ১০টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া এবং বালাসোর সহ ছয়টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরও ১০টি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে ওড়িশার আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে।
আবহাওয়া দপ্তর ওড়িশার উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে ২৬ অক্টোবর থেকে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে হাওয়া হবে উপকুল এলাকায়। ২৮ অক্টোবরের মধ্যে ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। সমুদ্রের পরিস্থিতি মাঝারি থেকে উত্তাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে আইএমডি জেলেদের বঙ্গোপসাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি বলেছেন যে সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।