Kasba Silver Point School

তদন্তের স্বার্থে স্কুল বন্ধ রেখে কর্তৃপক্ষ, সমস্যায় পড়ছেন পড়ুয়ারা

রাজ্য কলকাতা

কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলের ছাত্রের অস্বাভিক মৃত্যুর ঘটনায় এক সপ্তাহ পার। তদন্ত চলছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল সহ তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে কসবা থানা। এরই মধ্যে তদন্তের সহযোগীতার যুক্তি দেখিয়ে স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার কথা নির্দেশিকার মাধ্যমে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশিকার ফলে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন স্কুলের পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানিয়েছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার মেয়েকে স্কুল দিতে এসে দেখি স্কুল বন্ধ থাকার নোটিশ দিয়েছে স্কুল। কবে খোলা হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। নভেম্বরে টেস্ট পরীক্ষা, কি ভাবে কি হবে কিছু বুঝতে পারছিনা। একেই করোবার জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এখন আবার বন্ধ হলো।’’


স্কুল বন্ধ থাকার ফলে অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন সমস্যায় পড়েছেন তেমন একই ভাবে স্কুলের বিভিন্ন কাজও স্থগিদ হয়ে রয়েছে। এক শিক্ষক এই বিষয় বলেন, ‘‘স্কুল বন্ধ রাখতে আমরা বাধ্য হয়েছি। মন থেকে এটা আমরা করতে চাইনি। স্কুল বন্ধ থাকার ফলে মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ আছে।’’
সূত্রের খবর শনিবার কসবা থানায় প্রিন্সিপাল সহ অভিযুক্ত শিক্ষক, শিক্ষিকারা হাজিরা দেন। দীর্গক্ষন তাদের জেরা করে বিভিন্ন তথ্য জানেন তদন্তকারি আধিকারিকরা। 


গত সপ্তাহের সোমবার কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলের পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় দশম শ্রেণির ছাত্র শেখ শানের। শানের বাবা শেখ পাপ্পু প্রথমে অভিযোগ করেন যে তার ছেলেকে ছাদ থেকে ফেলে মারা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি যেদিন ঘটনাটি ঘটে সেদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রথম তাদের জানানো হয় যে শান সিঁড়ি দিয়ে পড়ে গিয়েছে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে তারা জানতে পারেন যে সে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছে। এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মৃতদেহ নিয়ে কসবা থানার সামনে পথ অবরোধ করেন শানের পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি অভিযুক্ত শিক্ষক, শিক্ষিকাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। 


ছাত্র মৃত্যুর এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছেন আধিকারিকরা। সেখানে দেখা যাচ্ছে পাঁচ তলার ছাদের একটি নির্মিয়মান ক্লাস রুমের ভিতরে ওই ছাত্র ধুকছে। তারপর আর তাকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়নি। ফরেন্সিক দলও নমুনা সংগ্রহ করেছে স্কুলে গিয়ে।

Comments :0

Login to leave a comment