Kolkata Municipal Corporation

পৌরসভার ব্যার্থতা আড়াল করতেই কি হাতাহাতি?

কলকাতা

শহর জুড়ে প্রতিদিন ডেঙ্গু বাড়ছে। বর্ষায় শহরের রাস্তার বেহাল দশা। নিকাশি ব্যবস্থার অবস্থাও বেহাল। বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন এলাকায় জল জমে থাকছে। পুকুর বুজিয়ে বেআইনি নির্মান চলছে শাসক দলের কাউন্সিকরের মদতে। সেই বিষয় নিয়ে কোন আলোচনা নেই কলকাতা পৌরসভায়। নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যার্থ তৃণমূল। তা মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়ার জন্য এবার কাউন্সিলর ক্লাবে হাতাহাতিতে জড়ালো বিজেপি এবং তৃণমূল কাউন্ডসিলর।


বৃহস্পতিবার বিডন স্ট্রিটে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয় বুলডোজার দিয়ে। গোটা বাড়ি নয়, বাড়ির একাংশ। তা নিয়ে এদিন অধিবেশনে প্রশ্ব তোলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান তিনি তাদের সাথে এই বিষয় ব্যাক্তিগত ভাবে কথা বলবেন। এখানেই শেষ হতে পারতো বিষয়টা। কিন্তু না বিজেপিকে প্রমান করতে হবে তারা প্রধান বিরোধী দল। তাই দলের উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতিকে ডেকে এনে কাউন্সিলর ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন শুরু করলেন সজল ঘোষ, মীনা দেবী পুরোহিতরা। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে বাঁধা দেয় তৃণমূল কাউন্সিলররা। তাদের অভিযোগ পৌরসভার অভ্যন্তরে দলীব পদাধিরাকিকে নিয়ে কোন সাংবাদিক সম্মেলন করা যাবে না। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা প্রথমে তারপর হাতাহাতি। নিউ মার্কেট থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 


এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিজেপি দাবি করছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের কর্মীর বাড়ি ভাঙা হয়েছে। তাহলে পৌরসভার পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ কেন তারা হলেন না। আবার অন্যদিকে তৃণমূল হঠাৎ করে ক্যামেরার সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লো কেন। কিন্তু আসল বিষয় হলো মেয়রের ঘরে বিজেপি কাউন্সিলরদের সাথে করে নিয়ে ঢোকেম তৃণমূল কাউন্সিলররা।  


কলকাতা পৌরসভার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই(এম) কাউন্সিলর নন্দিতা রায় বলেন, ‘‘অধিবেশন চলাকালিন বাড়ি ভাঙা নিয়ে বিজেপি কোন প্রশ্ন তোলেনি। স্কুল ড্রেস সংক্রান্ত যেই দুর্নীতি সামনে এসেছে তা নিয়ে আজ আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম। কিন্তু মেয়র পারিষদ না থাকায় এর উত্তর পাওয়া যায়নি। আগামী অধিবেশনে আসা করছি পাওয়া যাবে।’’

Comments :0

Login to leave a comment