Birla Institute of Technology

বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ টিএমসিপির বিরুদ্ধে

রাজ্য কলকাতা

গত শুক্রবার বিটি রোড চত্বরের বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) র‍্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। টিএমসিপির ইউনিট সভাপতি তন্ময় সাঁতরা, ইউনিটের কোষাধক্ষ্য অর্পণ পারিয়া, রামকুমার ভট্টাচার্য্য সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। রামকুমার ভট্টাচার্য্য টিএমসিপি পলিটেকনিক সেল এর জয়েন্ট কনভেনর।

আক্রান্ত ছাত্রের কথা অনুযায়ী শুক্রবার ক্লাস চলাকালীন টিএমসিপি ছেলেরা তাকে ডাকতে আসে। তাকে শিক্ষকের সামনে ক্লাস থেকে বার করে এনে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করে ওই টিএমসিপি নেতারা। এই ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের অন্যান্য সাধারণ ছাত্র ছাত্রী একত্রিত হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানায়। কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় = ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের চাপের কাছে কর্তৃপক্ষ নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং অভিযোগটি নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেয়।

বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে টিএমসিপি-র এই দাদাগিরি, গুন্ডামির ঘটনা এই প্রথমবার নয়। এর আগেও ২০২২ সালে ইউনিট কমিটির লিস্ট প্রিন্সিপালকে জমা দেওয়ার অজুহাতে পার্শ্ববর্তী রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি থেকে বিশ্বজিৎ দে ওরফে অটো বাপ্পার নেতৃত্বে বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজ প্রাঙ্গণের লেডিস হোস্টেল সামনে জমায়েত করেএবং কলেজেরই এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রর ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীকালে বারংবার কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর টিএমসিপির রেগিং,গুন্ডামির একাধিক অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। কলেজের ছাত্ররা জানিয়েছেন এই বিষয় তারা একাধিক বার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেয়নি তারা। এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘আমরা অনেকবার অভিযোগ জানিয়েছি কিন্তু কিছু হয়নি। জানি না কোন চাপের কাছে কর্তৃপক্ষ মাথা নত করে থাকে। কিন্তু শুক্রবার যেই ঘটনা ঘটেছে তাতে ছাত্র ছাত্রীদের চাপের কাছে তারা মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে।’’ তবে পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেও এখনও পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি বা অন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুতে র‌্যাগিংয়ের যেই ছবি সামনে এসেছে তাতে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি সিপিআই(এম)কে নিশানা করে রাজনীতি শুরু করেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন যে, ‘‘কিছু আগমারকা সিপিআই(এম) এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ টিএমসিপি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সিসিটিভি বসানোর জন্য এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য। যাদবপুরে কান্ডে এখনও পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা সবাই তৃণমূল ঘনিষ্ট ছাত্র সংগঠনের সদস্য। কোন এসএফআই কর্মী বা সমর্থক গ্রেপ্তার হয়নি। 

যেই ছাত্র সংগঠন যাদবপুর নিয়ে ‘অতি সরব’ আদালতে মামলা করে ফেললো তারাই আবার নীরব বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজের ঘটনাকে নিয়ে।  

Comments :0

Login to leave a comment