মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগে তোলপাড় দিনহাটায়। দিনহাটার চৌধুরীহাটে ওই মহিলা এক সুদের কারবারির হাতে নির্যাতিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্তের নাম মজিদুল হক। কোচবিহারের দিনহাটা-২ ব্লকের চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জায়গীরবালাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। এলাকায় প্রভাব প্রতিপত্তি রয়েছে এই সুদের কারবারির। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলা একটি সোনার আংটি বন্ধক রেখেছিলেন মজিদুলের কাছে। কিন্তু অভিযুক্ত তা ফেরত দিতে অস্বীকার করে অতিরিক্ত সুদ দাবি করে। তার প্রতিবাদ করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ওই মহিলা।
আক্রান্তের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত মজিদুল হক ও তাঁর স্ত্রী সাহিদা বিবিকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মজিদুল হকের কাছে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে সোনার আংটি বন্ধক রেখেছিলেন ওই মহিলা। সে সময় কথা ছিল কোনো রকম সুদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, টাকা ফেরত দিলেই আংটি ফিরিয়ে দেবে। রবিবার বিকেলে ওই মহিলা যখন টাকা দিয়ে আংটি ফিরিয়ে আনতে যান তখন মজিদুল তাঁর কাছে পনের হাজার টাকা দাবি করেন। এক সময় তিনি বলেন, আংটি অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপর মজিদুল ও তার স্ত্রী সাহিদা বিবি ওই মহিলাকে ধরে মারধর করতে থাকে। পরণের কাপড় ছিঁড়ে দিয়ে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পেটায়। আক্রান্তের মেয়েকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, মহিলার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে।
ওই মহিলা সাহেবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয়রাই মজদুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সোমবার দুই অভিযুক্তকে দিনহাটা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে ডিওয়াইএফআই নেতা শুভ্রালোক দাস বলেন, ‘‘চৌধুরীহাটে এক মহিলার উপর যেভাবে পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এ রাজ্যে প্রশাসন সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করলে কিছুতেই ওই ব্যক্তি সাহস পেত না। তৃণমূলের রাজত্বে এ রাজ্যে মহিলাদের ওপর যে ধরনের অত্যাচার হচ্ছে এটা তার আরেক নজির।’’
Dinhata
সুদ নিয়ে বিবাদ, মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ দিনহাটায়

×
Comments :0