মৎস্যজীবীদের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মৎস্যজীবীদের কল্যাণমূলক প্রকল্প বন্ধ করা হয়েছে রাজ্যে। তার বিরুদ্ধেও আন্দোলনের ডাক দিয়েছে মৎস্যজীবী সংগঠনের মালদহ জেলা সম্মেলন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মৎস্যজীবী সমিতি (এআইএফএফডব্লিউএফ)’র রাজ্য সম্পাদক দেবাশিস বর্মণ বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকারের ‘পণ্ডস পলিসির’ নামে রাজ্যের সমস্ত জলাভূমি একটি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। মৎস্যজীবীদের জলাভূমির অধিকার কেড়ে নিয়ে পেশাচ্যুৎ করতে চেষ্টা করছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘মৎস্যজীবীদের ভাতা, পেনশন, পরিচিতি পত্র, দুর্ঘটনা জনিত বিমা, সমস্ত কল্যাণমূলক প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এইসব বঞ্চনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।’’ 
সমবায়ে মৎস্যজীবদের অধিকার এবং জলাভূমির অধিকারের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেন বর্মণ। তিনি বলেন, ‘‘গরিবের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দেশজুড়ে যাতে গড়ে উঠতে না পারে তার জন্যে কেন্দ্র সরকারের মদতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করছে। শ্রমিক,কৃষক, মৎস্যজীবী বিরোধী গভীর চক্রান্ত এবং সংবিধান ধ্বংস করে ফ্যাসিবাদী আক্রমণের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলা জরুরি।’’ 
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মৎস্যজীবী সমিতি (এআইএফএফডব্লিউএফ), মালদহ জেলা কমিটির, দশম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো রতুয়া দু'নম্বর ব্লকের শ্রীপুর- ১ , গ্রাম পঞ্চায়েতের চামা গ্রাম নার্সারি বিদ্যালয়ে। সম্মেলনের শুরুতেই সংগঠনের পতাকা তোলেন মালদহ জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মহম্মদ একরাম হোসেন। এরপর শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন একরাম হোসেন, রাজ্য কমিটির সম্পাদক দেবাশিস বর্মন, সভাপতি মাহফুজুর রহমান প্রমুখ। সম্মেলনে উপস্থিত সকল প্রতিনিধিদের এবং দর্শকদের পক্ষে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক দেন জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড রবি হালদার। 
সম্মেলন পরিচালনা করেন কমরেড একরাম হোসেন,সুখদেব চৌধুরী,কমল ঘোষকে নিয়ে গঠিত সভা পতি মণডলী। সম্মেলনে শোকপ্রস্তাব পেশ করেন কমরেড একরাম হোসেন। 
সম্মেলন উদ্বোধন করে দেবাশিস বর্মন মৎস্যজীবীদের জীবন ,জীবিকা, বাসস্থানের উপরে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের আক্রমণের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন। সম্মেলনের খসড়া প্রতিবেদন পেশ করেন বিদায়ী সম্পাদক কমরেড,রবি হালদার। প্রতিবেদনের উপর বিভিন্ন ব্লক থেকে ১২জন প্রতিনিধি আলোচনা করেন। সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে বক্তব্য রাখেন মুজাফফর হোসেন। সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতিক্রমে ৪৫ জনের কমিটি গঠন করা হয়।  সভাপতি একরাম হোসেন, কার্যকরী সভাপতি প্রভাস হালদার, সম্পাদক খোকন মালো, কোষাধ্যক্ষ পদে সুশীল হালদার নির্বাচিত হন। ১৬তম রাজ্য সম্মেলনের জন্য ১৯ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়।