একশো দিনের কাজ চালু, গৃহহীনদের আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি, ভূমিহীনদের পাট্টা দেওয়া সহ নয় দফা দাবি নিয়ে সোমবার রানিগঞ্জ বিডিও অফিস ঘেরাও করলেন বঞ্চিত মানুষেরা। সিআইটিইউ, কৃষক সভা, খেতমজুর ইউনিয়ন, বস্তি উন্নয়ন সমিতি ও সামাজিক ন্যায় মঞ্চ'র ডাকে বিডিও অফিস প্রাঙ্গণে  দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে। কদমডাঙা থেকে লালঝাণ্ডার সুবিশাল মিছিল বিডিও অফিসে আছড়ে পড়ে। ব্যাপক সংখ্যার পুলিশ বিডিও অফিস ঘিরে রাখে।  বিক্ষোভ চলাকালীন সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে পূর্ণদাস ব্যানার্জি, হেমন্ত প্রভাকর, নারন বাউরির নেতৃত্বে সংগঠনের প্রতিনিধিদল  বিডিও কে ডেপুটেশন দেয়। ডেপুটেশনে পঞ্চায়েতের প্রকল্পগুলি থেকে বঞ্চিত পাঁচজন মহিলা ও উপস্থিত ছিলেন। তারা ৪-'ক' ফরম ফিলাপ করে নিয়ে বলেন, আমাদের একশো দিনের কাজ দিতে হবে। আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির তালিকা প্রকাশ করার দাবি ওঠে। 
এদিন বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ নেতা সুপ্রিয় রায়, মলয় মণ্ডল, ওম প্রকাশ দুবে, নির্মল মুর্মু, সঞ্জয় প্রামাণিক, মহেন্দ্র নুনিয়া, হেমন্ত প্রভাকর।  বক্তারা বলেন, কেন্দ্র সরকার বাজেটে একশো দিনের বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে। তৃণমূল সরকার একশো দিনের কাজের হিসেব দেয়নি বলে কাজ বন্ধ রেখেছে। দুই সরকারের জন্য গরিব মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। রাজ্য সরকার সর্বত্রই চুরি দুর্নীতি চালাচ্ছে। তৃণমূলের চোররা এখন বিজেপির নেতা। পঞ্চায়েতগুলি বাস্তু ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। তৃণমূল  চরম দলবাজি করছে। সাধারণ মানুশের জন্য ত্রিপল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা বিক্রি করে দিচ্ছে। কৃষকদের সার,বীজ, কৃষি সরঞ্জাম লুট হচ্ছে। ভাগচাষীদের বর্গা রেকর্ড থেকে নাম কেটে জমি বিক্রি হচ্ছে। রেশনের থেকে গরিব মানুষের নাম বাদ যাচ্ছে। পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে সারা কয়লাঞ্চল জুড়ে। আইসিডিএস ও এসএসকে র শিক্ষক নিয়োগ নেই। বিডিও কে বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনের হেলদোল নেই।  নেতৃবৃন্দ বলেন, দাবি না মানলে  লড়াই তীব্র হবে।