দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে জলপাইগুড়ি থেকে শিয়ালদহ যাত্রা শুরু করল নয়া ট্রেন। শনিবা দুপুর ২টো নাগাদ এক অনুষ্ঠানের মাধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে। রবিবার ভোর চারটেয় শিয়ালদহ পৌঁছবে ট্রেনটি। ১৯ কোচের এই ট্রেনে ১৬টি এসি থ্রি টিয়ার কোচ রয়েছে, দুটি স্লিপার কোচও রয়েছে। এদিন সাদা রঙের ট্রেনটি ধুলোয় কালো হয়ে যাওয়া হামসফর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন দিয়েই ট্রেনটির উদ্বোধন হয়। পতাকা নেড়ে ট্রেনের যাত্রার সুচনা করেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়। ছিলেন রেলের আধিকারিকরাও। জলপাইগুড়ি থেকে এই প্রথম কলকাতায় যাওয়ার ট্রেন চালু হল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনটি সপ্তাহে একদিন চলবে। প্রতি শুক্রবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে ৫৮৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শনিবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে জলপাইগুড়ি রোড পৌঁছাবে ট্রেনটি। শনিবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে জলপাইগুড়ি রোড থেকে ছেড়ে রবিবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে শিয়ালদহ পৌঁছাবে। রেল সূত্রে জানা গেছে আগামী ২০ জুন থেকে সাপ্তাহিক এই ট্রেনটি পুরোদমে চলবে। রেল সূত্রে জানা গেছে এই ট্রেনটির স্লিপার কোচের ভাড়া ৩৮৫ টাকা। এসি থ্রি টিয়ার হাজার পঞ্চাশ টাকা ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জলপাইগুড়ি রোড-শিয়ালদহ হামসফর এক্সপ্রেস ট্রনটি জলপাইগুড়ি রোড থেকে এনজেপি, আলুয়াবাড়ি রোড, কিষাণগঞ্জ, বারসই জংশন, সামসি, মালদহ টাউন হয়ে নিউ ফরাক্কা, জঙ্গিপুর রোড, আজিমগঞ্জ জংশন, বহরমপুর কোর্ট, কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, রানাঘাট জংশন, নৈহাটিতে থামার পর শিয়ালদহে ঢুকবে ট্রেনটি। শিয়ালদহ থেকেও একইপথে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে পৌঁছবে।
জলপাইগুড়িতে রয়েছে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, পলিটেকনিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। ফলে কলকাতার সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। নতুন ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করবে এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশাবাদি জলপাইগুড়িবাসী। সেই সঙ্গে তাদের দাবি নতুন রেকে ট্রেনটি দৈনিক চালানো হোক। সেই সঙ্গে জেনারেল ও স্লিপার কামড়া যুক্ত করার দাবি তুলেছেন নিত্যযাত্রীরা।